
ছবিঃ সংগৃহীত
বাবা-মায়ের ডিভোর্স বা আলাদা থাকার সিদ্ধান্তের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল একটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়—সন্তানের অভিভাবকত্ব কার থাকবে? এ বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার আঞ্জুমান আরা লিমা জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী সন্তানের প্রাথমিক অভিভাবকত্ব মা'র কাছেই থাকে, তবে এর কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে।
তিনি বলেন, ছেলে সন্তান হলে ৭ বছর এবং মেয়ে সন্তান হলে ৯ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তান মায়ের কাছেই থাকবে—এটাই আইন অনুযায়ী নির্ধারিত। কারণ, আইন ও লিগ্যাল ফ্রেটারনিটি বিশ্বাস করে শিশুর জন্য মা'র কাছেই থাকা অধিক নিরাপদ ও উপযোগী। তবে যদি প্রমাণ হয় মা'র কাছে শিশুর নিরাপত্তা নেই বা ভালো পরিবেশে সে বড় হতে পারবে না, তাহলে আদালত বাবার কাছেও সন্তানের অভিভাবকত্ব দিতে পারে।
এই অভিভাবকত্ব যেই পাক না কেন, অপর পক্ষের জন্য ‘ভিজিটিং রাইটস’ নিশ্চিত করে আদালত। যেমন—সপ্তাহে দুদিন বা মাসে কয়েকদিন সন্তানের সঙ্গে দেখা করার নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
বিচ্ছেদের পর যদি মা হাউজওয়াইফ হন এবং আর্থিকভাবে নির্ভরশীল না হন, তাহলে সন্তানের যাবতীয় খরচ—ভরণপোষণ, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি বাবাকেই বহন করতে হয়। তবে যদি মা কর্মজীবী হন ও নিজে সন্তানের খরচ চালাতে সক্ষম হন, তাহলে তিনি আদালতে আবেদন করে বাবার আর্থিক সহায়তা নিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন। এক্ষেত্রে বাবার আর বাধ্যবাধকতা থাকে না।
তবে ব্যারিস্টার লিমা জানিয়েছেন,ভরণপোষণ না দিলেও সন্তানের বাবার সম্পদ বা সম্পত্তিতে সন্তানের অধিকার বজায় থাকে।
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/15L6P1QY4x/
মারিয়া