
ছবি সংগৃহীত
চেক হাতে পেয়েছেন, ব্যাংকে জমা দিয়েছেন, কিন্তু ‘ডিজঅনার স্লিপ’ চেকটি ফিরিয়ে দিয়েছে ব্যাংক। এ অবস্থায় আইন অনুযায়ী কী করবেন? অভিজ্ঞ আইনজীবীরা জানান, বাংলাদেশের নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্ট, ১৮৮১-এর ১৩৮ ধারা মেনে নিচের পাঁচ ধাপেই পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
ব্যাংক থেকে ‘ডিজঅনার স্লিপ’ সংগ্রহ
ব্যাংক লিখিতভাবে জানিয়ে দেবে কেন চেকটি বাতিল হয়েছে। যেমন: মন্দ ব্যালেন্স, স্বাক্ষর মিলেনি ইত্যাদি। এ স্লিপই হবে ভবিষ্যৎ মামলার মূল প্রমাণ।
৩০ দিনের মধ্যে আইনি নোটিশ
ডিজঅনার স্লিপ হাতে পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে কোনও বিশেষজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে চেকদাতার ঠিকানায় রেজিস্ট্রি/কুরিয়ারে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাতে হবে। নোটিশে চেকের অঙ্ক, তারিখ, ব্যাংকের বিশদ ও ফেরত‑চাওয়ার স্পষ্ট দাবিসহ আইনের ধারা উল্লেখ থাকবে।
পুনঃপরিশোধের ৩০ দিনের সময়সীমা
নোটিশ পাওয়ার পর চেকদাতা‑অপর পক্ষের হাতে থাকে আরও ৩০ দিন। এই সময়ে তিনি চেকের পুরো টাকা নগদ/চেক/পে‑অর্ডারে ফেরত দিলে আইনগত পদক্ষেপ আর প্রয়োজন হয় না।
অর্থ না পেলে কোর্টে মামলা
নোটিশ‑উপেক্ষার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ফৌজদারি মামলা (১৩৮ ধারা, এন আই অ্যাক্ট) করতে হবে। নির্দিষ্ট ফরমে অভিযোগ, ডিজঅনার স্লিপের কপি, নোটিশের কপি ও ডাক বিভাগীয় প্রেরণ‑রসিদ জমা পড়বে।
সম্ভাব্য সাজা ও ক্ষতিপূরণ
দোষ প্রমাণিত হলে আদালত সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড বা চেকের দ্বিগুণ অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দিতে পারে। পাশাপাশি আদালত ক্ষতিপূরণ বাবদ মূল টাকাও বাদীকে আদায়ের নির্দেশ দেয়।
আশিক