
ছবিঃ সংগৃহীত
চেকের টাকা ফেরত না দেওয়ার (বাউন্স) কারণে যদি আপনার বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং আদালত দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেয়, তাহলে নিচে উল্লেখিত নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন।
প্রথমেই রায় ভালোভাবে বোঝা, আদালত কী ধরনের শাস্তি দিয়েছেন—জেল, জরিমানা, না কি দুটোই? তারপর রায়ের কপি সংগ্রহ করুন ও ভালো করে পড়ুন (আইনজীবীর সাহায্যে)।
এক্ষেত্রে আপিল করার সুযোগ রইয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে আপনি উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন। সাধারণত ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয়। এছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল, টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা করা। তবে অ্যামাউন্ট বেশি হলে সময় চেয়ে নিতে পারেন আদালতের কাছ থেকে। চেকের টাকার সঙ্গে যদি জরিমানা হয়, তবে দ্রুত পরিশোধের উদ্যোগ নিন। অনেক সময় আদালত টাকা মিটিয়ে দিলে শাস্তি কমাতে পারে বা জামিন দিতে পারে।
রায়ের পরপরই আইনজীবীর পরামর্শ নিন, একজন অভিজ্ঞ ফৌজদারি আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করুন। কাগজপত্র, লেনদেনের প্রমাণ, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি জোগাড় করে রাখুন।
এরপর জামিনের আবেদন করুন, যদি জেল হয়ে থাকে, আপনি জামিনের জন্য আবেদন করতে পারেন। জামিন পেলে আপিল প্রক্রিয়া চলতে থাকলেও জেলে থাকতে হবে না। এছাড়া শোনানিতে অনুপস্থিত থাকলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে, তাই নিয়মিত হাজিরা দেওয়া জরুরি।
চেকের মামলায় শাস্তি হলেও, এটা চূড়ান্ত সমাধান নয়। আইন অনুযায়ী আপিল, অর্থ পরিশোধ ও জামিন—সবই আপনার অধিকার। তাই ভয় বা পালিয়ে না গিয়ে, একজন দক্ষ আইনজীবীর সহায়তায় নিয়ম মেনে এগিয়ে চলুন।
সূত্রঃ https://www.facebook.com/share/r/15xxYDoX79/
আরশি