
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে একটি সাধারণ প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসে: একজন পক্ষ চাইলে কি তালাক কার্যকর করা সম্ভব, যদি অপর পক্ষ রাজি না থাকে? সংক্ষিপ্ত উত্তর—হ্যাঁ, সম্ভব। তবে এর পেছনে রয়েছে একটি নির্ধারিত আইনি প্রক্রিয়া।
বাংলাদেশের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, স্বামী বা স্ত্রী, যেকোনো একজন তালাক দিতে চাইলে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। অর্থাৎ, আপনি যদি তালাক দিতে চান এবং আপনার জীবনসঙ্গী তাতে রাজি না থাকেন, তবুও আপনি আইনি প্রক্রিয়ায় তালাক দিতে পারবেন।
কীভাবে কার্যকর হয় তালাক?
তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য মূলত তিনটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়:
চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত নোটিশ পাঠানো: তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে প্রথমে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর লিখিতভাবে তালাকনামা পাঠাতে হয়।
তালাকনামা প্রাপকের নিকট প্রেরণ: চেয়ারম্যান অপর পক্ষকে বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করবেন। এখানে প্রাপক চিঠিটি গ্রহণ করলেন কি না বা তাতে সই করলেন কি না—তা তালাকের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে না।
৯০ দিনের অপেক্ষা: তালাকনামা জমা দেওয়ার পর থেকে ৯০ দিনের মধ্যে যদি কোনো আপত্তি না আসে এবং কোনো মিলন না ঘটে, তবে তালাক আইনত কার্যকর হয়ে যায়।
এটি নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে: আমার বাসায় তালাকনামা এসেছে, আমি তা রিসিভ করিনি, সইও করিনি। তাহলে কি তালাক হয়েছে?
উত্তর হলো, তালাকনামা যথাযথভাবে পাঠানো এবং চেয়ারম্যান তা প্রেরণ করেছেন—এটাই যথেষ্ট। আপনি রিসিভ করুন বা না করুন, সই করুন বা না করুন—নির্ধারিত ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হয়ে যাবে।
এসএফ