ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

লোন পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার পর সম্পত্তি নিলামে উঠলে কি করবেন!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৪১, ২২ এপ্রিল ২০২৫

লোন পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার পর সম্পত্তি নিলামে উঠলে কি করবেন!

ছবি: সংগৃহীত

 

ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পর কোন পর্যায়ে সম্পত্তি নিলামে ওঠে। আর নিলামের প্রক্রিয়াগুলো কি, তখন আপনি কিভাবে আপনার সম্পত্তি নিলাম থেকে রক্ষা করতে পারবেন! জেনে নিন বিস্তারিত: 

আমরা যখন ব্যাংকে কোনও সম্পত্তি জামানত রেখে লোন নিই তখন আপনাকে ঋণের কিস্তি অবশ্যই পরিশোধ করতে হয়। আমরা প্রায় সময় আমরা জাতীয় পত্রিকা খুললেই পত্রিকার কোনও এক কোনে নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেখি। সম্পত্তি কেন নিলামে ওঠে, তার কারণ হচ্ছে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পর আপনি যদি লোনের কিস্তিগুলো পরিশোধ না করেন তাহলে একমাস বা দুইমাস পর ব্যাংক আপনাকে ফেইলর এর তালিকায় রাখবে। তারপর কোনও ব্যাংক ৬মাস পর আপনাকে লিগ্যাল নোটিশ দিবে। 
এভাবে নোটিশ দিয়ে আপনাকে সতর্ক করে যাতে আপনি লোনটা পরিশোধ করেন। এরকম পরপর কয়েকটা নোটিশ দেওয়ার পরেও কাজ না হলে ব্যাংক তখন আপনার বিরুদ্ধে অর্থঋণ মামলা করবে কিন্তু তার আগেই ব্যাংকের কাজ হচ্ছে আপনি লোন নেওয়ার সময় যে সম্পত্তি জামানত রেখেছিলেন সেটা কিন্তু অবশ্যই বিক্রি বা নিলামে তুলবে। নিলামে তুলে যদি বিক্রি করতে না পারে তাহলে তখন ব্যাংক অর্থঋণ মামলা করার অনুমতি পাবে।

এই যে মামলা শুরু করার আগে বিক্রির চেষ্টা একে বলা হয় ১২এর ৩ধারার নোটিশ। এখানে ব্যাংক আপনাকে নোটিশ দিয়ে জানাবে। আপনার এলাকায় কোনও জনসমাগম হয় এমন স্থানে নোটিশ দিয়ে বা মাইকিং করে অথবা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানাবে।
১২ এর ৩ ধারা নোটিশটা অতটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু না এক্ষেত্রে একটা গ্রহীতা চাইলেই ব্যাংকের সাথে একটা সমঝোতায় গিয়ে ব্যাংককে নিলাম থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে।

কিন্তু যখন ব্যাংক ৩৩ ধারায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিবে তখন সেটা বুঝতে হবে ব্যাংক আপনার ব্যাপারে অনেক কঠিন হয়েছে। কারণ যখন ব্যাংক কোনোভাবেই লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে আপনার কাছ থেকে টাকা নিতে পারছে না । তখন ব্যাংক ১২ এর ৩ধারায় চেষ্টা করে সেখানেও ব্যর্থ হলো তারপর আপনার বিরুদ্ধে আপনার বিরুদ্ধে অর্থঋণের মামলা করলো তারপরেও ব্যাংক টাকা নিতে ব্যর্থ হলো তখন ব্যাংক আপনার বিরুদ্ধে অর্থজারি মামলা করলো এই জারি মামলার একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে ৩৩ ধারার নিলাম। এর মানে হলো ব্যাংক আপনার বিরুদ্ধে অনেকগুলো লিগ্যাল স্টেপ নিতে নিতে এমন একটি জায়গায় এসেছে, তার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আপনার কাছ থেকে টাকা সে কোনও ভাবেই পুনরুদ্ধার করতে পারছে না এমতাবস্থায় ব্যাংক ৩৩ধারার নোটিশে যায়।

যদি ৩৩ ধারার নোটিশটি আপনি পান, যদি আপনার কোন লিগাল গ্রাউন্ড থাকে তাহলে আপনি আপনি তখনই নোটিশটা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটা রিট মামলা করে আপনি সাময়িক সময় নিয়ে টাকাটা পরিশোধ করার একটা ব্যবস্থা করতে পারেন। কিন্তু যদি আপনার পুরো প্রক্রিয়াটি ব্যাংক অবজারভেশন করে দেখে যে প্রাথমিক পর্যায়ে আপনার লোন নেওয়ার পর থেকে পরিশোধ করা পর্যন্ত আপনার ইচ্ছা ভালো ছিল না, কোনও লেনদেনই ব্যাংকের সাথে ভালোভাবে পরিচালিত হয়নি তাহলে ৩৩ধারায় চ্যালেঞ্জ করে আপনি খুব বেশি উপকার করতে পারবেন না। 

এসব ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই চেষ্টা করবেন যাতে আপনার লোনটা ডিফল্ট করতে করতে এমন একটা জায়গায় চলে না যায় যাতে ব্যাংক ৩৩ ধারায় যেতে বাধ্য হয়।  

আবুবকর

×