
ছবি: সংগৃহীত
ধরেন আপনার নামে একটা নারী নির্যাতন মামলা অথবা একটা শিশু নির্যাতন মামলা তখন আপনি কি করবেন। আসুন জেনে নিই কি করণীয়:
আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যখনই কোনও স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়,কথা কাটাকাটি হয়, স্ত্রী রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যায়। তখন স্বামীরা একটা ভয়ে থাকে সেটা হলও মিথ্যা মামলা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে পরিবারের কেও না কেও তাকে বুদ্ধি দেয় যে স্বামীকে শায়েস্তা করার একটাই পথ আছে সেটা হলও মামলা করা।
তার নামে একটা নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করা হলে তার শিক্ষা হবে।
এসব ক্ষেত্রে সব মামলা যে মিথ্যা হবে এমনটি নয়। তবে বেশিরভাগই মিথ্যা মামলা। সত্য মামলার পরিমাণ অনেক কম। যদি মামলা হয়েই যায় তাহলে আপনার নামে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি হয়ে যাবে। যদি অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি হওয়ার ভয় থাকে তাহলে আপনি চেষ্টা করবেন আগাম জামিনের ব্যবস্থা করে রাখতে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কোর্টকে বোঝাতে হবে যে আপনি ওয়ারেন্টের ভয়ে আছেন, তাহলে আগাম জামিন পাবেন।তবে এসব ক্ষেত্রে জামিনটা স্থায়ীভাবে কন্টিনিউ করা হয় না,পরের তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়ে থাকে।
এটা করার পর আপনি সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে যদি আপনি প্রমাণ করতে পারেন যে মামলাটি মিথ্যা ছিলও তাহলে মামলাটি খারিজ হয়ে যাবে। অনেকের সন্দেহ থাকে যে এই মামলাগুলো তো আর বললেই খারিজ হয়ে যায় না। কোনও কোনও মামলা ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত চলতে পারে।
আর যদি মিথ্যা মামলা কারীকে শাস্তি দিতে চান তাহলে আপনাকে কোর্টে একটা আবেদন করতে হবে। মিথ্যা মামলার জন্য শাস্তির আবেদন করে তার নামে একটা মামলা করতে হবে। কোর্ট ইচ্ছা করলে মিথ্যা মামলাকারীকে শাস্তি দিতে পারে। তবে আমাদের দেশে এমনটা সাধারণত করা হয় না।
তবে আমাদের কোর্টগুলো একটি কাজ করে থাকে, মামলা যদি সাজানো মনে হয় তাহলে কোর্ট থেকে একটা তদন্তকারী দল সেখানে পাঠায় রিপোর্টে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে কোর্ট মামলাটি তখনই খারিজ করে দেয়।
আর, মামলা হয়ে গেলে কোনো অবস্থাতেই মামলা থেকে বাঁচতে পলায়ন করবেন না তাহলে আপনার শাস্তি আরও বেড়ে যেতে পারে। কোর্টে হাজির থেকে আপনার বক্তব্য উপস্থাপন করতে।তাহলে অনেক রকমের হয়রানি থেকে আপনি বেঁচে যাবেন।
আবুবকর