
ছবি: সংগৃহীত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তায় ব্যারিস্টার লিমা আঞ্জুমান পরকীয়া সম্পর্কের শাস্তি এবং এ সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি কোনো নারী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান এবং তার স্বামীর হাতে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য ও প্রমাণ থাকে, তাহলে তিনি ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুযায়ী ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারেন।
এ ধরনের মামলায় সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। যথাযথ সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করে, আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করানো সম্ভব।
যদি স্বামী পরকীয়ায় লিপ্ত হন এবং স্ত্রী আইনি প্রতিকার চান, তাহলে সেই সুযোগ তুলনামূলকভাবে সীমিত। কারণ, স্ত্রী প্রতিকার চেয়ে মামলা করতে গেলে, বা সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করলেও সরাসরি সেকশনভিত্তিক ভালো কোনো প্রতিকার ব্যবস্থাও নাই।
ব্যারিস্টার লিমা আরও বলেন, ‘বিয়ে একটি সামাজিক ও নৈতিক বন্ধন। স্বামী বা স্ত্রী যেই পরকীয়ায় জড়ান না কেন, তাতে পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত্তি নষ্ট হয়ে যায়। আর আইনের আশ্রয় নিতে গেলে সেটাও সময়সাপেক্ষ ও মানসিকভাবে কঠিন হতে পারে।’
তিনি পরামর্শ দেন, ‘এমন অবিশ্বাসের সম্পর্ক সারাজীবন ধরে রেখে চেয়ে, বিচ্ছেদ বা বিকল্প সমাধানের পথ খোঁজা অধিক যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।’
সূত্র: https://www.facebook.com/share/r/1AWTRtLm3G/
রাকিব