ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

ধার দেওয়া টাকা ফেরত না পেলে কী করবেন?

প্রকাশিত: ২৩:৫৪, ২১ এপ্রিল ২০২৫

ধার দেওয়া টাকা ফেরত না পেলে কী করবেন?

ছবি: সংগৃহীত

ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা বন্ধুত্বের খাতিরে অনেক সময় আমরা পরিচিতজনকে টাকা ধার দিয়ে থাকি। কিন্তু যখন সেই টাকা ফেরত আসে না, তখন শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ি না—বরং সম্পর্কেও টানাপোড়েন শুরু হয়। অনেকেই জানেন না, এই পরিস্থিতিতে কী ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

আইনজীবীরা বলছেন, ধার দেওয়ার সময়ই প্রয়োজনীয় লিখিত প্রমাণ ও সাক্ষ্য রাখা হলে টাকা ফেরত পাওয়ার পথ অনেকটা সহজ হয়ে যায়।

লিখিত চুক্তির গুরুত্ব
টাকা ধার দেওয়ার ক্ষেত্রে মৌখিক চুক্তির চেয়ে লিখিত চুক্তি অনেক বেশি কার্যকর। এ ধরনের চুক্তি সাধারণত নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে করা হয়, যেখানে ধার দেওয়া অর্থের পরিমাণ, ফেরতের সময়সীমা, শর্তাবলি ও সাক্ষীর নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ন্যূনতম ২ জন নিরপেক্ষ সাক্ষী রাখা জরুরি, যারা পরবর্তীতে আদালতে সাক্ষ্য দিতে পারেন।

প্রমাণ সংরক্ষণ করুন
ব্যাংক ট্রান্সফার, মোবাইল ব্যাংকিং অথবা চেকের মাধ্যমে লেনদেন করা হলে সেটিই পরবর্তীতে আইনি প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। হাতে হাতে নগদ টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও রশিদ বা স্বীকারোক্তিমূলক নথি সংরক্ষণ করা উচিত।


টাকা ফেরত না পেলে প্রথমেই একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো যেতে পারে। এতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অর্থ পরিশোধের অনুরোধ জানানো হয়। সাড়া না পেলে দেওয়ানি আদালতে অর্থ আদায়ের মামলা করা যায়। তবে যদি প্রাপক চেক দিয়ে থাকেন এবং তা বাউন্স করে, তাহলে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৩৮ ধারায় ফৌজদারি মামলা করা সম্ভব।

এ ছাড়া, ক্ষেত্রবিশেষে স্থানীয় থানা বা ইউনিয়ন পরিষদের সালিশি পরিষদে অভিযোগও করা যেতে পারে। আদালতের বাইরে মধ্যস্থতা বা ‘মেডিয়েশন’-এর মাধ্যমেও বিষয়টি সমাধান করা যায়।


আইন বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, টাকা ধার দেওয়ার সময় আবেগের চেয়ে বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিতে হবে। সম্পর্কের কথা ভেবে প্রমাণ ছাড়া টাকা ধার দিলে ভবিষ্যতে বিপদে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।

তথ্যসূত্র:https://www.facebook.com/share/v/197iw8dhAd/

এসএফ

×