
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান সমাজে স্ত্রীকে না জানিয়ে আবার বিয়ে করার প্রবণতা কখনো কখনো দেখা যায়। আগে এমন পরিস্থিতিতে সাধারণত পারিবারিকভাবে বা গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা হতো। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে আইনি সচেতনতা বাড়লেও এখনো অনেক নারী অর্থনৈতিকভাবে, শিক্ষাগতভাবে এবং সামাজিকভাবে দুর্বল থাকার কারণে প্রতিবাদ করতে পারেন না। অনেকে সংসার রক্ষা করার তাগিদে মুখ বুজে সহ্য করেন।
অনেক সময় দেখা যায়, প্রথম স্ত্রী যখন দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতে পারেন, তখন মামলা করেন। তবে সেই মামলা চালিয়ে যাওয়ার সাহস বা সামর্থ্য অনেকের থাকে না। কারণ, একা সংসার চালানোর ভয়, সন্তানদের ভবিষ্যৎ এবং সমাজের চোখে ‘পরিত্যক্তা’ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক নারীকেই চুপ থাকতে বাধ্য করে।
মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, একাধিক বিয়ে করতে চাইলে পুরুষকে অবশ্যই স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের (কাউন্সিলরের) কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে। পাশাপাশি প্রথম স্ত্রীর সম্মতিও প্রয়োজন। এ নিয়ম না মেনে বিয়ে করলে তা অবৈধ না হলেও আইন লঙ্ঘনের শামিল, এবং এর জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে।
যদি কোনো স্বামী গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং এতে প্রথম স্ত্রী কষ্ট পান বা প্রতারিত হন, তবে তিনি সরাসরি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে প্রথম স্ত্রী পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারেন এবং স্বামীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে।
এসএফ