
ছবি: সংগৃহীত
যৌথ মালিকানা সম্পত্তি যখন একের অধিক ব্যক্তির মিলেমিশে ব্যবহার করে, ভোগ দখল করে, তখন সেই সম্পত্তিকে এজমালি সম্পত্তি বলা হয়।
এজমালি সম্পত্তি কখনো না কখনো একক মালিকের মালিকানাধীন ছিল। আপনি এখন যে জমির মালিক, আপনার মৃত্যুর পর আপনার সন্তান সন্তানদের মাঝে যখন উক্ত সম্পত্তি বণ্টন করা হবে, তখন তারা প্রত্যেকে আলাদা আলাদা ভাবে নিজের নামে সম্পত্তি বণ্টন করে নিবে। এই বণ্টন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত উক্ত সম্পত্তিকে বলা হবে এজমালি সম্পত্তি যা সকলের জন্য উন্মুক্ত।
এজমালি সম্পত্তি কীভাবে বণ্টন করতে হবে?
ধরুন, আপনার বাবার মৃত্যুর পর আপনার ৩ ভাই বোনের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টন করতে হবে। ধরুন আপনারা ২ ভাই ১ বোন। আপনার বাবার মৃত্যুতে এজমালি সম্পত্তিকে আপনারা আপনাদের ইচ্ছেমত সকলের সম্মতিতে বণ্টন করতে পারেন, আবার কেউ কাউকে না মানলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। কোনটা ভালো?
তবে, একদমই কোনো উপায় না পেলে কেবলমাত্র তখনি আদালতে যাবেন, এর আগে নয়।
বাটোয়ারা মামলায় যেহেতু ভাই বোন সবাইকে পক্ষ হতে হয়, আবার, ভাই বোন কারো মৃত্যুতে তার ওয়ারিশদের পক্ষ করতে হয়। সেহেতু মামলা করলে আদালতে আসা যাওয়াতেই অযথা খরচ হবে। অথচ আপোষে নিজেরা বণ্টন করে নিলে কোনো প্রকার বাড়তি খরচ ছাড়া মাত্র ২৭৬০/- টাকা বা তার চেয়ে কিছু বেশি অর্থ পরিশোধ করে আপনারা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বাটোয়ারা সম্পন্ন করতে পারেন।
অথচ, আপনি আপনার বাসা থেকে ৪ জন মানুষ নিয়ে বছরে ১২ বার আদালতে উপস্থিত হতেই তার চেয়ে বেশি টাকা যাতায়াত খরচ দিতে হবে, উকিল খরচ বাদই দিলাম। কিন্তু আপোষে বণ্টন করে নিলে দিনে দিনেই সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে বণ্টন দলিল সম্পন্ন করে নিজ নিজ নামে জমি খারিজ করিয়ে নিতে পারবেন।
আপোষে বণ্টন করতে না পারলে শেষ পর্যন্ত আদালতে গিয়ে বাটোয়ারা মামলা করতে হবে। মৃত ব্যক্তির মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশান সনদ এবং সম্পত্তির সকল কাগজপত্র ইত্যাদির প্রয়োজন হবে। তখন আদালত প্রয়োজনে কমিশন গঠন করে হলেও সম্পত্তি বাটোয়ারা করে দিবেন, যদিও সেটা বেশ সময় সাপেক্ষ।
শহর কিংবা গ্রাম, ফ্লাট, মার্কেট প্রতি ইঞ্চি জমি অনেক মূল্যবান। তাই ১০০% ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করা হয়।
মায়মুনা