
ছবি: সংগৃহীত
“চাকরি করবো না, চাকরি দেবো”, এই প্রত্যয় নিয়ে আজ থেকে ১৩ বছর আগে, বুয়েট থেকে সদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা এক তরুণ, কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সমাজের প্রচলিত ধ্যান-ধারণা পেছনে ফেলে স্বপ্ন দেখেন উদ্যোক্তা হওয়ার।
তিনিই হয়ে ওঠেন “সুন্দর আগামীর ঠিকানা” গড়ার কারিগর। বলছি ম্যাক্সওয়েল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদের কথা।
সাধারণত বুয়েটের মতো শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনের চাকরি গ্রহণ করেন। কিন্তু ফারুক আহমেদ ভেবেছিলেন ভিন্নভাবে। তিনি চাকরি না করে উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে সফলভাবে এগিয়ে চলেছেন তিনি।
২০১১ সালে বুয়েট থেকে পাস করার পর, তার মতোই সদ্য গ্র্যাজুয়েট কিছু মেধাবী বন্ধুকে নিয়ে শুরু হয় তার এই পথচলা। মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম বাসস্থান নিয়ে কাজের আগ্রহ থেকেই গড়ে তোলা হয় “ম্যাক্সওয়েল ওয়েস্টার্ন সিটি”। প্রস্তাবিত ৬২৬ বিঘা জমির ওপর এই আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে, যার লক্ষ্য মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য মানসম্মত ও সাশ্রয়ী আবাসনের নিশ্চয়তা প্রদান।
“সুন্দর আগামীর ঠিকানা”—এই ট্যাগলাইন ধারণ করে ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদ এবং তার দলের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন একটি আধুনিক ও মানবিক নগরায়ণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে।
সমাজের প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়াকেই অনেক সময় সফলতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু ফারুক আহমেদের মতো মেধাবীরা যদি উদ্যোক্তা হয়ে অন্যদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেন, তাহলে আমাদের সমাজ ও দেশ এগিয়ে যাবে আরও দ্রুত, আরও দৃঢ়ভাবে।
শহীদ