ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

চাকরির ইন্টারভিউতে যে ৫টি কথা কখনোই বলবেন না

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ২১ এপ্রিল ২০২৫

চাকরির ইন্টারভিউতে যে ৫টি কথা কখনোই বলবেন না

ছবি: সংগৃহীত

চাকরির ইন্টারভিউ মানেই নিজেকে প্রমাণ করার সেরা সুযোগ। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কিছু ভুল কথা আপনার সব প্রস্তুতি মাটি করে দিতে পারে। অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত কিছু মন্তব্যও আপনাকে চাকরির দৌড়ে পিছিয়ে দিতে পারে। তাই ইন্টারভিউতে কী বলবেন, তার পাশাপাশি কী বলবেন না, সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ইন্টারভিউতে যেসব কথা বলা একেবারেই উচিত নয়:

১. “আমি আসলে এই চাকরিটা খুব একটা চাই না”

অনেকেই সৎভাবে বলতে চান যে এটি হয়তো তাদের প্রথম পছন্দ নয় বা তারা অন্য জায়গায়ও আবেদন করেছেন। কিন্তু এই ধরনের বক্তব্য আপনাকে অনাগ্রহী বা অস্থির চাকরিপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে। আপনার আগ্রহ এবং দায়বদ্ধতাই ইন্টারভিউ বোর্ড দেখতে চায়।

২. “আমার আগের বস একেবারেই খারাপ ছিলেন”

পুরনো কর্মস্থলের নেতিবাচক দিক প্রকাশ করাটা আপনার পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ইন্টারভিউ বোর্ড ভাবতে পারে আপনি ভবিষ্যতেও এভাবে প্রতিষ্ঠান বা সহকর্মীদের নিয়ে কথা বলতে পারেন।

৩. “এই পজিশনে কী কী করতে হবে?”

চাকরির বিবরণ না জেনে ইন্টারভিউতে যাওয়া মানেই অপ্রস্তুত প্রার্থী হিসেবে ধরা পড়া। এ ধরনের প্রশ্নে বোঝা যায় আপনি গবেষণা করেননি বা গুরুত্ব দেননি, যা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৪. “আমার সবচেয়ে খারাপ দিক হলো আমি খুব পারফেকশনিস্ট”

এটি একধরনের ‘ফেক’ উত্তর, যা অনেক প্রার্থীই ব্যবহার করেন। ইন্টারভিউয়াররা এগুলো এখন সহজেই বুঝে ফেলেন। বরং নিজেকে বাস্তবিকভাবে উপস্থাপন করুন।

৫. “আমার আর প্রশ্ন নেই”

সাক্ষাৎকারের শেষে সাধারণত ইন্টারভিউয়ার বলেন, “আপনার কোনো প্রশ্ন আছে?”—এটি আপনার কৌতূহল ও আগ্রহ প্রকাশের সেরা সময়। কিছু না জিজ্ঞেস করলে আপনি অনাগ্রহী বা নিরুৎসাহী মনে হবেন।

শেষ কথা:

ইন্টারভিউ শুধুমাত্র আপনার যোগ্যতা যাচাইয়ের জায়গা নয়, এটি আপনার যোগাযোগ দক্ষতা, আচরণ এবং পেশাদারিত্ব বোঝার একটি মাধ্যম। তাই কী বলছেন এবং কী বলছেন না, সেই বিষয়ে সচেতন থাকাটাই আপনাকে এগিয়ে রাখবে।

আসিফ

×