ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১

বিবাহিত নারীরা কেন পরপুরুষে আকৃষ্ট হয়?

প্রকাশিত: ০১:০২, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ০১:০২, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

বিবাহিত নারীরা কেন পরপুরুষে আকৃষ্ট হয়?

প্রতীকী ছবি

বিয়ে হলো এক পবিত্র বন্ধন, যেখানে দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে অনেকের ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক একঘেয়ে হয়ে ওঠে। বছরের পর বছর একসঙ্গে থাকার পরও অনেক বিবাহিত নারী ভিন্ন পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হন।

 

নারী কিংবা পুরুষ— উভয়েরই নতুন কারো প্রতি আকর্ষণ অনুভব করা স্বাভাবিক। তবে এই আকর্ষণ যখন সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন তা দাম্পত্য জীবনে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে। ফলে অনেক সম্পর্ক ভেঙে যায়। কিন্তু কেন নারীরা বিয়ের পরও পরপুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হন? এর কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ হলো:

ফেলে আসা অতীত

অনেক নারী প্রেমের সম্পর্ক রেখেও পারিবারিক চাপে অন্য কাউকে বিয়ে করতে বাধ্য হন। এর ফলে অতীতের ভালোবাসা ভুলতে পারেন না এবং পুরনো সম্পর্কের প্রতি মন ঝুঁকে যায়। একসময় তারা স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে থেকেও আগের প্রেমের মানুষটির প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন।

দাম্পত্য জীবনে বিরক্তি

নারীরা সাধারণত সঙ্গীর কাছ থেকে ভালোবাসা, যত্ন ও মনোযোগ প্রত্যাশা করেন। কিন্তু অনেক সময় তারা তা পান না। সঙ্গীর অবহেলা, কম সময় দেওয়া বা সম্পর্কের প্রতি উদাসীনতা নারীদের একঘেয়েমি ও বিরক্তির দিকে ঠেলে দেয়। এই পরিস্থিতিতে যদি অন্য কোনো পুরুষ তাদের প্রতি আগ্রহ দেখান, তাহলে অনেক নারী তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।

মানসিক একাকীত্ব

দাম্পত্য সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো মানসিক সংযোগ। কিন্তু যখন স্বামী ব্যস্ত জীবনযাপনে ডুবে থাকেন, স্ত্রীকে পর্যাপ্ত সময় দেন না বা তার অনুভূতিগুলোকে গুরুত্ব দেন না, তখন নারী মানসিকভাবে একাকীত্ব অনুভব করেন। এই একাকীত্ব দূর করতে অনেক নারী অন্য কারো সান্নিধ্য খোঁজেন, যা ধীরে ধীরে পরকীয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

প্রতিশোধ নেওয়ার মানসিকতা

অনেক পুরুষ দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীকে অবহেলা করেন বা অসম্মানজনক আচরণ করেন। কিছু নারী এই অবহেলার প্রতিশোধ নিতে অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। এটি তাদের জন্য একটি প্রতিরোধের মাধ্যম হয়ে ওঠে, যার মাধ্যমে তারা স্বামীকে তার ভুল বোঝাতে চান।

শারীরিক ও আর্থিক চাহিদা

বিবাহিত নারীদের পরপুরুষে আকৃষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে শারীরিক ও আর্থিক প্রয়োজন। যদি স্বামী মানসিক বা শারীরিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হন, তাহলে কিছু নারী বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হন। একইভাবে আর্থিক সংকট থাকলেও অনেক নারী স্বামীর বাইরে অন্য পুরুষের সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করেন, যা সম্পর্ককে অবৈধ দিকেও নিয়ে যেতে পারে।

 

যে কারণেই হোক, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক কখনো সুখের পরিণতি বয়ে আনে না। এটি দাম্পত্য জীবনে অশান্তি সৃষ্টি করে এবং শেষ পর্যন্ত দুজনের জীবনকেই দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। তাই যদি দাম্পত্য জীবনে কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে খোলাখুলি আলোচনা করাই সবচেয়ে ভালো উপায়। একে অপরের প্রয়োজন বুঝতে চেষ্টা করা এবং সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালানো উচিত। যদি সম্পর্ক এতটাই ভেঙে যায় যে তা আর টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়, তাহলে আইনগতভাবে আলাদা হয়ে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তোলাই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে।

 

 

 

 

তাবিব

×