অনেকেই ব্যাংকের চাকরির চেষ্টা করেন। অন্যান্য সরকারি চাকরির চেয়েও ব্যাংকের চাকরির প্রস্তুতি খানিকটা আলাদা হয়। জেনে নিন সাফল্য পেতে কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন-
চাকরি প্রার্থীদের কাছে ব্যাংকের চাকরি অবশ্যই একটি নিশ্চিত ঠিকানা। বিশেষ করে সরকারি ব্যাংক হলে তো বাড়তি সুবিধাও রয়েছে। তবে অনেকেই ব্যাংকের চাকরির চেষ্টা করলেও ঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন না। অন্যান্য সরকারি চাকরির থেকে ব্যাংকের চাকরির প্রস্তুতি খানিকটা আলাদা হয়। সিলেবাস থেকে পরীক্ষার ধরন- সবই ব্যাংকের পরীক্ষায় আলাদা হয়।
পরীক্ষার ধরন বুঝুন
যে কোনো পরীক্ষার প্রস্তুতির আগে পরীক্ষার ধরন, সিলেবাস আগে ভালো করে বুঝে নিতে হবে। ব্যাংকের পরীক্ষার বিভিন্ন বিভাগ হলো- নিউম্যারিক্যাল এবিলিটি/কোয়ানটিটিভ অ্যাপটিচিউড, জেনারেল ইংরেজি, রিজনিং এবিলিটি, কম্পিউটার জ্ঞান, সাধারণত সচেতনতা।
কমন পরীক্ষার জন্য আগেই পরিকল্পনা
প্রার্থীরা কোন পদে আবেদন করবেন সেই বুঝে পরীক্ষা প্রস্তুতি নিতে হবে। ব্যাংকের পরীক্ষা সহজ করার জন্য ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংকিং পার্সোনাল সিলেকশন (IBPS) নেওয়া হয়। আর এই কমন লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি যে কোনো ব্যাংকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য একটি একক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে IBPS-এর মাধ্যমে আপনি একটি একক সাধারণ লিখিত পরীক্ষার আবেদন করে সমস্ত ব্যাংক নিয়োগে আবেদন করতে পারেন।
সময় ধরে অভ্যাস
ব্যাংকের পরীক্ষায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরো প্রশ্নের উত্তর দেওয়াই বেশ চ্যালেঞ্জের বিষয়। তাই বাড়িতে পড়াশোনা করার সময়েই ঘড়ি ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে।
কোন কোন পদে পরীক্ষা
মূলত তিনটি পদে ব্যাংকে চাকরি পাওয়া যায়। ক্লার্ক এবং প্রবেশনারি অর্থাৎ PO এবং স্পেশালিস্ট অফিসার পদে বেশিরভাগ ব্যাংকে নিয়োগ করা হয়। তবে তিনটি পদেই ভিন্ন যোগ্যতা লাগে। একইসঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়াও আলাদা হয়। তাই কোন পদে আবেদন করতে চান আগে সেটি ঠিক করতে হবে।
প্রতিটি পদের বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। উল্লেখ্য, ক্লার্ক এবং PO পরীক্ষা বছরে দুবার হয়। যদিও স্পেশালিস্ট অফিসার একবারই নেওয়া হয়। সাধারণত ২০-২৮ বছর বয়সী প্রার্থীরা ক্লার্ক পদে আবেদন করতে পারেন। অন্যদিকে, প্রবেশনারি পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীর বয়স ২১-৩০-এর মধ্যে হতে হবে।
চাকরি বাজার ডেস্ক
ব্যাংকে চাকরির প্রস্তুতি
শীর্ষ সংবাদ: