-
১. দক্ষতা অর্জন করুন:
অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার পর যে সময়টুকু পাবেন তা কাজে লাগান। ইংরেজি এবং কম্পিউটার সংক্রান্ত কোর্স করে নিতে পারেন। যা আপনার পছন্দের চাকরির ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করবে।
২. পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিন:
মাস্টার্সের পাশাপাশি কয়েক ঘণ্টা সময় ব্যয় করুন বিভিন্ন চাকরির প্রস্তুতিমূলক পড়াশোনার জন্য। রুটিন করে ভাগ করে নিন প্রতিদিনের সময়ের। কষ্ট হলেও রুটিন মেনে চলুন। এই কষ্ট আর ত্যাগই আপনাকে নিয়ে যাবে আপনার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে।
৩. সিভি তৈরি করুন:
একটি সুন্দর ভালো মানের সিভি তৈরি করুন। যা সহজেই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। নিজের ঢোল নিজেই পিটিয়ে তুলে ধরুন আপনার দক্ষতা আর অভিজ্ঞতা।
৪. লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হোন:
শুধু সরকারি চাকরি না, কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও লিখিত পরীক্ষা হয়। যারা বেসরকারি চাকরি করতে চান, তারাও প্রস্তুত হোন পছন্দের প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরীক্ষা দিয়ে নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানুন। নজর রাখুন তারা কবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়।
৫. ভাইবার জন্য তৈরি হোন:
যখন কোনো ভাইভা দিতে যাবেন, সুন্দর পরিপাটি হয়ে যাবেন। পরীক্ষকরা প্রথমেই আপনার বাহ্যিক দিকটা দেখবে। প্রশ্নের উত্তর দেবেন স্পষ্টভাবে। যা পারবেন না সুন্দর করে বলে দেবেন ‘দুঃখিত বা মনে করতে পারছি না’। ভুল উত্তর দেবেন না, ভাবতে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না।
৬. নতুন কিছু শিখুন:
আজকাল কোর্সের অভাব নেই। গ্রাফিকস ডিজাইনসহ চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন রকম কোর্স আছে। বুঝেশুনে আপনার লক্ষ্যের সঙ্গে মিলে যায়, তেমন কোর্সও করে নিতে পারেন। যা আপনাকে কাজের গতি বাড়াতে আর অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
৭. সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি:
সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হয় মন্ত্রণালয়ে। ৮০% যোগ্যতাই থাকে এইচএসসি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার পাশাপাশি এসব চাকরির জন্যও প্রস্তুতি নিতে পারেন। ঘণ্টা দুয়েক সময় রাখুন এই পড়ার জন্য। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেই আবেদন করুন। এখানে নিয়োগের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে এক বছরের মতো সময় লেগে যায়। পরীক্ষা হয় বাংলা, গণিত, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞানের ওপর।
৮. ব্যাংকের জন্য প্রস্তুতি:
ব্যাংকের জন্য সম্পূর্ণ আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হয় এবং ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। কারণ ব্যাংকের পরীক্ষাগুলো ইংরেজিতে হয়। এর জন্য সিলেবাসের একটা করে অধ্যায় একদিনে শেষ করতে চেষ্টা করবেন। আর বিগত বছরের প্রশ্নগুলোও পড়ে নিতে হবে।
৯. বিসিএস এর জন্য:
আপনি যদি বিসিএস দিতে চান তবে আগে ভাবুন তার জন্য সেই পরিমাণ সময় দিতে পারবেন কিনা। এটি ৪/৫টি ধাপে সম্পন্ন হয়। তার চেয়ে বড় কথা এর জন্য প্রায় ২ বছর সময় নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। সিলেবাস দেখুন। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো পড়ুন। অধ্যায়গুলো সাজিয়ে নিন যাতে প্রতিদিন একটি করে অধ্যায় শেষ হয়। এমনভাবে পড়ুন যেন ভুলে না যান। সব শেষ হলে দেখুন কতটা মনে আছে। যেগুলো ভুলে গেছেন, সেগুলোতে মন দিন।
১০. শিক্ষক হতে চাইলে:
এই পরীক্ষা সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতামূলক। অনেকেই সহজ মনে করে হেলাফেলা করেন। সিলেবাস আর বিগত বছরের প্রশ্নগুলো রুটিন করে ঠান্ডা মাথায় পড়ে শেষ করুন।
প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্যই পরিকল্পনা করে পড়লে পড়া সহজে শেষ হবে। তবে তার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন অধ্যবসায়। রুটিন করে অধ্যায়গুলো ভাগ করে নিন। প্রতিটি অধ্যায় শেষ হলে নিজেই নিজের পরীক্ষা নিন। যে বিষয়গুলো মনে রাখতে পারছেন না সেগুলো মনোযোগ সহকারে বেশি করে পড়ুন। পড়ার পর লিখলে তা অনেকদিন মনে থাকে। চাকরি একটা বড় প্রতিযোগিতার বাজার। নিয়ম করে এর পেছনে অন্তত ৬ মাস সময় দিন। সফলতা আপনাকে ধরা দেবেই। আপনি যদি নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারেন, তা হলে চাকরির পেছনে আপনাকে ছুটতে হবে না চাকরিই আপনাকে খুঁজবে।
চাকরি বাজার প্রতিবেদক