.
তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে। তাই অনেক নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত প্রশ্ন আসে। কম্পিউটারের বিভিন্ন দিক যেমন- কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম, ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস, এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ডেটাবেইস ও ডেটা কমিউনিকেশন, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, কম্পিউারের নম্বর সিস্টেম ও কম্পিউটারের ভাষা সম্পর্কে জানতে হবে বর্তমান প্রজন্মের কাছে বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ব্যাংক বেশ জনপ্রিয়। তবে এর জন্য অনেক খাটা-খাটনি করতে হয়। সঙ্গে প্রয়োজন ধৈর্য, আন্তরিকতা, একাগ্রতা, সহযোগিতামূলক মনোভাব। সব রকমের সুযোগ-সুবিধা, সময়মতো পদোন্নতি ও ভালো বেতনের জন্য ব্যাংকের চাকরি তরুণ-তরুণীদের কাছে খুব পছন্দের।
প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি
ব্যাংকের চাকরির পরীক্ষা হবে ৩টি ধাপে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌাখিক। প্রিলিমিনারি (বহু নির্বাচনী) পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরে, ১০০টি (MCQ) থাকবে। বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, অংকে ৩০, সাধারণ জ্ঞানে ২০ ও তথ্যপ্রযুক্তিতে ১০ নম্বর। বেশিরভাগ প্রশ্নই হয় নবম-দশম শ্রেণির বোর্ডের বই থেকে। তাই সেভাবে প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে-
বাংলা: বাংলার জন্য বোর্ডের ব্যাকরণ বইগুলো ভালো করে আয়ত্তে আনতে হবে। বাংলা ভাষারীতি, ধ্বনি ও বর্ণ, ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান, বানান শুদ্ধিকরণ, বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়, বাক্য শুদ্ধিকরণ, সন্ধি, লিঙ্গ, পুরুষ, বচন, সমাস, উপসর্গ, দ্বিরুক্ত শব্দ- এসব বিষয়গুলো ভালো করে পড়তে হবে। এছাড়া সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, বিভিন্ন ধরনের প্রতিশব্দ, শব্দের বিশিষ্ট অর্থ ও প্রয়োগ, প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ, পদ প্রকরণ, ক্রিয়ার কাল, ক্রিয়ার ভাব, কারক ও বিভক্তি, অনুসর্গ, বাক্য, বাক্য সংকোচন, প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, বাগধারা, প্রবাদ-প্রবচন, বাচ্য, বিরাম ও যতি চিহ্ন, পারিভাষিক শব্দ, অনুবাদ ও অলংকার ভালোভাবে পড়তে হবে।
ইংরেজি: ইংরেজি ও অংকে ভালো দক্ষতা থাকলে সফলতা হাতের মুঠোয়। তাই ইংরেজিতে ভালো করলে অনেকের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন। নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা ও ইংরেজি সাহিত্য পড়লে জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়বে। যেসব বিষয়গুলো পড়বেন– অ্যানালজি, ইডিয়মস অ্যান্ড ফ্রেজ, অনুবাদ, প্রিফিক্স, সাফিক্স, ইংরেজি বানান, ভয়েস চেঞ্জ, ন্যারেশন ও পদ প্রকরণ। সিলেবাসের পাশাপাশি আগের বছরের প্রশ্নগুলো অবশ্যই ভালোভাবে আয়ত্তে আনবেন।
গণিত: প্রিলিমিনারিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব থাকে গণিতে। এতে ৩০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। তাই ৭ম-৯ম শ্রেণির বোর্ডের বইয়ের পাটিগণিত খুব ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। অনেকে অংকে ভালো হলেও অনুশীলনের অভাবে দ্রুত লিখতে পারে না। ফলে সম্পূর্ণ উত্তর দিতে পারে না। তাই অনুশীলনের বিকল্প নেই। যেসব বিষয়ের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে– সংখ্যাগত সমস্যা ও সম্পর্ক নির্ণয়, বয়স নির্ণয় সম্পর্কিত সমস্যা, গড়, শতকরা, সাধারণ ও ভগ্নাংশ সমীকরণ, অসমতা, সূচক-লগারিদম, বীজগাণিতীয় বিভিন্ন সূত্র ও সূত্র দিয়ে সমস্যার সামাধান। এছাড়া সেট, ভেনচিত্র, সামান্তর ও গুণোত্তর ধারা, রেখা ও কোণ, ত্রিভূজ-চতুর্ভূজ-বহুভূজ, বৃত্ত, ত্রিকোণমিতি, পরিমিতি, বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা, মিশ্রণ অনুপাত, অংশীদারত্ব বিষয়ক সমস্যার সমাধান, লসাগু-গসাগু, দশমিক ও বাইনারি সংখ্যা, নৌ ও রেলের গতি-সময়-দূরত্ব নির্ণায়ক সমস্যা পড়তে হবে।
সাধারণ জ্ঞান: নিয়মিত দৈনিক পত্রিকা পড়া আর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানার্জন ছাড়া এর কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক ভৌগোলিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, মানবাধিকার সংক্রান্ত সংস্থা-সংগঠন ও সম্মেলন, আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশের সংবিধান, জনশুমারি, বাজেট, আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী ইস্যু, পরিবেশবাদী সংস্থা, বাংলাদেশের জাতীয় অর্জন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, বিভিন্ন অর্থনৈতিক রিপোর্ট ও সমীক্ষা এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে হবে।
তথ্যপ্রযুক্তি: তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে। তাই অনেক নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত প্রশ্ন আসে। কম্পিউটারের বিভিন্ন দিক যেমন- কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম, ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস, এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ডেটাবেইস ও ডেটা কমিউনিকেশন, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, কম্পিউারের নম্বর সিস্টেম ও কম্পিউটারের ভাষা সম্পর্কে জানতে হবে।
এই বিষয়গুলোতে চোখ বুলিয়ে ঝালাই করে নিন নিজেকে। আর যদি কোনো কিছু বাদ পরে থাকে, তো ঝটপট পড়ে নিন।