
ছবি: সংগৃহীত
২০১৯ সালে কাশ্মীরের আকাশে ভারত-পাকিস্তানের উত্তপ্ত সংঘর্ষের মধ্যে নাটকীয়ভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে আটক হন ভারতীয় এয়ারফোর্স পাইলট উইং কমান্ডার আভিনন্দন ভার্থামান। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মিগ-২১ যুদ্ধবিমানটি গুলি করে ভূপাতিত করার পর প্যারাসুটে নামেন তিনি।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের হোরিয়ান গ্রামের স্থানীয়দের বর্ণনা অনুযায়ী, পাইলট মাটিতে নামার পরপরই উত্তেজিত গ্রামবাসীরা তাকে ঘিরে ধরে এবং কেউ কেউ পাথর ছুঁড়তে থাকে। আতঙ্কিত অবস্থায় পাইলট কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে শূন্যে, যাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
গ্রামের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি মোহাম্মদ রাজ্জাক চৌধুরী বিবিসিকে বলেন, "আমার উদ্দেশ্য ছিল পাইলটকে জীবিত অবস্থায় আটক করা। তার প্যারাসুটে ভারতীয় পতাকা দেখে বুঝে যাই তিনি একজন ভারতীয় পাইলট।" তিনি জানান, গ্রামবাসীদের মধ্যে কেউ কেউ তাকে মারধর করতে চাইলে, অন্যরা আবার তাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করে।
চোখে কাপড় বাঁধা অবস্থায় প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রক্তাক্ত পাইলট শান্তভাবে কথা বলছেন। পরে আরেকটি ভিডিওতে তাকে পরিচ্ছন্নভাবে দেখা যায়, যেখানে তিনি চা পান করছেন এবং জানান যে, পাকিস্তানি বাহিনী তার সঙ্গে সদয় আচরণ করছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পরবর্তীতে দেশটির পার্লামেন্টে ঘোষণা দেন, শান্তির বার্তা হিসেবে আটককৃত পাইলটকে তারা মুক্তি দেবেন। তার এই বক্তব্য দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আভিনন্দনের এই আটক এবং পরে মুক্তি পাওয়া ঘটনাটি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্তপ্ত এক মুহূর্ত হয়ে উঠে, যা বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়।
আসিফ