
দুই পারমাণবিক প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আবারো উত্তেজনার সুর চড়ে উঠেছে। পাকিস্তান সরাসরি জানিয়েছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র মজুত কোনো কাকতালীয় প্রস্তুতি নয়, বরং এর টার্গেট ‘ভারত’। এমন মন্তব্যের জেরে আবারো আলোচনায় এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি।
পাকিস্তানের ১৩০ টির বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র এমনি এমনি সাজিয়ে রাখা হয়নি। এগুলো শুধুই ভারতের জন্য রাখা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক ‘দ্যা গার্ডিয়ান’ এ খবর দিয়েছে।
শনিবার পাকিস্তানের মন্ত্রী হানিফ আব্বাসী হুঁশিয়ারি দিয়ে আরো বলেন, “এসব ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রই তোমাদের দিকে তাক করা আছে।”আব্বাসীর এমন মন্তব্য দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাকিস্তানের ‘ফুল স্পেক্ট্রাম ডিটারেন্স’ নামক সামরিক নীতিমালায় প্রচলিত হুমকিকে প্রতিরোধ করতে ট্যাক্টিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতের ‘কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন’ এর নকশা করা হয়েছে দ্রুত হামলা চালানোর কথা মাথায় রেখে।
এই বিপরীতমুখী কৌশলগুলোর কারণে যে কোন সংঘর্ষ দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লি অভিযোগ করেছে, পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার সঙ্গে ইসলামাবাদের যোগসূত্র রয়েছে।
ভারত এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন না করলেও তারা বলছে, অতীতে পাকিস্তান ভারতবিরোধী সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিয়েছিল।
পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি এবং ভারতের পাল্টা অভিযোগে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এই দুই প্রতিবেশীর কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিশ্বশান্তির জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র:https://tinyurl.com/bdr4ncsn
আফরোজা