
ছবি: সংগৃহীত
পারস্য উপসাগরে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সৌদি আরবসহ আটটি উপসাগরীয় দেশের সঙ্গে নৌ-জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাংসিরী। তিনি জানান, এই জোট গঠনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারবে এবং বহিরাগত হস্তক্ষেপ প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, পারস্য উপসাগরে বিদেশি শক্তির উপস্থিতি এই অঞ্চলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক তৎপরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শত্রুরা দুটি ভয়ঙ্কর লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে—একটি হচ্ছে অবৈধভাবে এই অঞ্চলে অবস্থান এবং অন্যটি পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রির চেষ্টা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে নিয়ে এসেছে আরও একটি বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস কার্ল ভিনসন’, যা অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত এবং মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের অংশ হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে লোহিত সাগরে ‘ইউএসএস হ্যারিয়েস ট্রুম্যান’ এবং ভারত মহাসাগরের ব্রিটিশ-আমেরিকান ঘাঁটিতে বি-টু বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের সামরিক কার্যক্রমও বাড়ছে এই প্রেক্ষাপটে। পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে যখন চরম উদ্বেগ, তখন ইরান একের পর এক সামরিক সক্ষমতা উন্মোচন করছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA) সম্প্রতি জানিয়েছে, ইরানের কাছে ছয়টি পারমাণবিক বোমা তৈরির মতো পরিশোধিত ইউরেনিয়াম মজুত রয়েছে। এ তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানান, অন্যথায় সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে ইরান। গত মাসে ওমান উপসাগরের চাবাহার বন্দরে অনুষ্ঠিত এই মহড়ার মাধ্যমে মস্কো ও বেইজিং ইরানকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আলী রেজা তাংসিরীর মতে, এই অঞ্চলের দেশগুলোকে একত্রিত করে একটি শক্তিশালী নৌ-জোট গঠনই পারে বহিরাগত হুমকি মোকাবিলা করতে।
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=BaTQihHqcQA
এম.কে.