
উপমহাদেশে আবারও যুদ্ধের আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, যা সর্বাত্মক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে। কাশ্মীর ইস্যু কেন্দ্র করে এই উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তান গিলগিত-বালতিস্তানে তাদের আধুনিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে।
পাকিস্তানি ও ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা যায়, গিলগিত-বালতিস্তানের স্কারদু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এফ-১৬ ও জেএফ-১৭ থান্ডারসহ বিভিন্ন মডেলের বিধ্বংসী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের এই অংশে অবস্থিত স্কারদু বিমান ঘাঁটি কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, স্কারদু থেকে ভারতীয় কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের দূরত্ব মাত্র ১৫৫ কিলোমিটার। এ কারণে পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানগুলো মাত্র কয়েক মিনিটেই ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশ করতে সক্ষম। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার দাবি, এই ঘাঁটি পরিচালনায় পাকিস্তান চীনের সহায়তা পাচ্ছে এবং পূর্বেও এখানে চীনা যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি দেখা গেছে।
এছাড়াও, খাইবার পাখতুনখাওয়ার সাইদু শরীফ বিমান ঘাঁটি সক্রিয় করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ সব বিমানঘাঁটি ও যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রেখেছে বলে জানিয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া। এ পরিস্থিতিতে “জারভ-ই-হায়দারি” নামক এক সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে পাক বিমান বাহিনী।
এদিকে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতীয় একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। ভিমবার জেলার মানাওয়া সেক্টরে এ ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দাবি, ড্রোনটি গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে সীমান্ত লঙ্ঘন করেছিল।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, "যুদ্ধ শিগগিরই শুরু হতে পারে, পাকিস্তান সর্বাত্মক প্রস্তুত।" তিনি আরও জানান, ভারতের আগ্রাসী অবস্থানের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পথেও যেতে পারে।
পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে তা নির্ভর করছে আগামী কয়েকদিনের উপর। আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।
সূত্র ঃ https://www.youtube.com/watch?v=q7Ib3v3FnNo
রাজু