
ছবি: সংগৃহীত
দুবাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড টাওয়ার, যেখানে চার বেডরুমের পেন্টহাউসগুলোর মূল্য শুরু হচ্ছে ৭ কোটি দিরহাম থেকে। ডাউনটাউন দুবাইয়ের প্রবেশমুখে এবং শেখ জায়েদ সড়কের ধারে অবস্থিত এই প্রকল্পটির উদ্বোধন হয়েছে মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব সফরের আগে।
জেদ্দায় ট্রাম্প টাওয়ারের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর দুবাইয়ের এই প্রকল্পটি হলো আরেকটি নতুন উদ্যোগ। এটি বিলাসবহুল আবাসন নির্মাতা ডার গ্লোবালের সঙ্গে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণের অংশ। এই দুই সংস্থা ওমানেও একটি গলফ থিমভিত্তিক প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করছে।
ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের নির্বাহী সহ-সভাপতি এরিক ট্রাম্প বলেন, “ডার গ্লোবালের সঙ্গে আবারও অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা দুবাইয়ের বিলাসবহুল বাজারে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা ও অনন্য মান নিয়ে আসতে যাচ্ছি। দুবাই একটি বৈশ্বিক গন্তব্য, যেখানে আইকনিক উন্নয়নের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির মিল রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম গতিশীল শহরে ট্রাম্প ব্র্যান্ডকে আরও বিস্তৃত করতে পেরে আমরা গর্বিত।”
গত বছরের শেষ দিকে জমিটি কেনা হয় এবং ডার গ্লোবাল ও ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের একটি যৌথ দল মিলে প্রকল্পটির বিভিন্ন দিক নির্ধারণের কাজ শুরু করে। জাপানের খ্যাতনামা স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান নিক্কেন সেকেই এই প্রকল্পের ডিজাইন দিচ্ছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথম ট্রাম্প হোটেল: ডার গ্লোবালের সিইও জিয়াদ এল শার বলেন, “এটি একটি সাহসী প্রকল্প হতে যাচ্ছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে ট্রাম্পের সুপার-লাক্সারি হোটেল ব্র্যান্ডের প্রথম প্রবেশ, যেখানে প্রথম ১৮টি তলা হোটেল হিসেবে ব্যবহৃত হবে।” ৮০ তলা ভবনের মধ্যে হোটেল অংশ নেবে প্রথম ১৮টি তলা, দুটি তলা ট্রাম্প ব্র্যান্ডের কেবল সদস্যদের জন্য ক্লাব হিসেবে বরাদ্দ থাকবে, এরপর শুরু হবে আবাসিক ফ্লোর।
এল শার জানান, “হোটেল, ক্লাব ও আবাসিক—এই তিনটি উপাদান থাকায় প্রকল্পটি জটিল এবং নির্মাণে প্রায় ৪ বছর সময় লাগবে। আমরা অতিরিক্ত এক বছর ব্যাকআপ হিসেবেও ধরছি।”
এ অর্থে, প্রকল্পটি ২০৩১ সালে শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই প্রকল্পের আনুমানিক মোট উন্নয়ন ব্যয় ১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ট্রাম্প টাওয়ার জেদ্দার ডিজাইন করেছে জেনসলার আর্কিটেক্টস।
ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের জন্য এই উদ্বোধন একধরনের ইতিহাস সংশোধনেরও প্রতীক। ২০০৮-০৯ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের আগে পাম জুমেইরায় একটি ট্রাম্প টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
এখন, যখন জেদ্দা ও দুবাই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, তখন দৃষ্টি গেছে রিয়াধে সম্ভাব্য ট্রাম্প টাওয়ার প্রকল্পের দিকে। যদিও এল শার এখনই এর বিস্তারিত জানাতে চাননি, তবে তিনি বলেন, “রিয়াধে দুটি ট্রাম্প প্রকল্প হবে, যার একটি হবে গলফ কমিউনিটি।”
শহীদ