
ছবিঃ সংগৃহীত
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাওয়াজা মুহাম্মদ আসিফ বলেছেন, কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার পর ভারতীয় সামরিক আক্রমণ 'অত্যন্ত সম্ভাব্য' হয়ে উঠেছে। এই হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সতর্কতা
সোমবার ইসলামাবাদে এক সাক্ষাৎকারে খাওয়াজা আসিফ জানান, পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় আক্রমণের আশঙ্কায় তাদের সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের বাহিনী শক্তিশালী করেছি কারণ এটি এখন একটি অবশ্যম্ভাবী পরিস্থিতি।” তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সরকারকে ভারতীয় আক্রমণের সম্ভাবনা সম্পর্কে অবহিত করেছে, যদিও তিনি এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি। তবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হামলাকারীদের শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
পারমাণবিক হুমকি
আসিফ বলেন, পাকিস্তান শুধুমাত্র তখনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে যখন তার অস্তিত্বের জন্য সরাসরি হুমকি থাকবে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলে ইন্দাস জলচুক্তি রক্ষায় আহ্বান জানিয়েছে, যা ভারত সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
চীন শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে, এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষকে দায়িত্বশীল সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান গালফ দেশগুলো, চীন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য।
পরিস্থিতির গুরুত্ব
কাশ্মীর অঞ্চলে এই হামলা দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতিহাসে, ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশের বিভাজন থেকে শুরু করে, কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দুইটি যুদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে, উভয় দেশই পারমাণবিক অস্ত্রধারী হওয়ায়, এই অঞ্চলে উত্তেজনা বিশ্ব শান্তির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে, যেখানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও সংযমের মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমিত করার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মারিয়া