
ছবিঃ সংগৃহীত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি F/A-18 সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান সাগরে পড়ে গেছে। বিমানটি টানার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান নামের বিমানবাহী রণতরী থেকে সোজা লাল সাগরে পড়ে যায়।
বিমানটি যখন হ্যাঙ্গারে তোলা হচ্ছিল, তখন হঠাৎ রণতরীটি একটি তীব্র বাঁক নেয়। সামরিক সূত্র বলছে, এই বাঁক নেওয়া ছিল ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলা এড়াতে। তারা ওই সময় ট্রুম্যানকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে ছিল।
সাগরে হারিয়ে যাওয়া এই একটি যুদ্ধবিমানের মূল্য প্রায় ৬ কোটি ডলার।
এই ভয়াবহ ঘটনায় সৌভাগ্যজনকভাবে সবাই নিরাপদে আছেন। শুধু একজন নাবিক সামান্য আহত হয়েছেন।
নৌবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে:
“বিমানটি যখন টানা হচ্ছিল, তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং সঙ্গে থাকা টাও ট্রাক্টরসহ সাগরে পড়ে যায়। কাছাকাছি থাকা নাবিকরা দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যান।”
বিমানবাহী রণতরী হ্যারি এস. ট্রুম্যান বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন রয়েছে এবং ইরান-সমর্থিত হুথিদের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে কাজ করছে। হুথিরা ট্রুম্যানকে আগেও একাধিকবার টার্গেট করেছে।
এমনকি ফেব্রুয়ারিতে এটি একটি বাণিজ্যিক জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিল। আর গত ডিসেম্বরে ট্রুম্যান থেকে উড়ানো আরেকটি F/A-18 ভুল করে মার্কিন রণতরী গেটিসবার্গ থেকেই গুলিবিদ্ধ হয় — যদিও পাইলটরা তখন সফলভাবে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন।
গত এক বছরে হুথিদের হামলা আরও বেড়েছে। তাদের হামলা থেকে বাঁচাতে গিয়ে মার্কিন রণতরীগুলো প্রায়ই ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল নিতে বাধ্য হচ্ছে।
এই সংঘাতের মূল কারণ হলো — গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে হুথিদের প্রতিবাদ। তারা বলছে,
“ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না করা পর্যন্ত আমরা ফিলিস্তিনিদের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।”
এদিকে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিমান হামলা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে একটি বন্দিশালায় হামলায় বহু আফ্রিকান অভিবাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে হুথিরা। তবে এই বিষয়ে মার্কিন সেনাবাহিনী এখনো কিছু বলেনি।
ঘটনার তদন্ত চলছে, তবে নৌবাহিনী জানিয়েছে — এই দুর্ঘটনার পরও ট্রুম্যান ও তার পুরো স্ট্রাইক গ্রুপ এখনো পূর্ণ সক্ষমতায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
মারিয়া