ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

ভারতের দিকে তাক করা ১৩০টি পারমাণবিক বোমা! উত্তপ্ত দুই দেশ

প্রকাশিত: ১০:০৩, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ভারতের দিকে তাক করা ১৩০টি পারমাণবিক বোমা! উত্তপ্ত দুই দেশ

ছবি : সংগৃহীত

জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। হামলার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছে। এরই মধ্যে চতুর্থ রাতের মতো কাশ্মীরের লাইন অফ কন্ট্রোলে (LoC) গোলাগুলি চালিয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। উপত্যকার পুঞ্চ এবং কুপওয়ারা জেলার একাধিক এলাকায় চলে পাল্টাপাল্টি গুলিবর্ষণ।

 

 

ভারতের দাবি, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা প্রথমে গুলি চালায়। জবাবে পাল্টা গুলি ছুড়ে জওয়ানরা। দুই পক্ষের গোলাগুলির ফলে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আসা পারমাণবিক হামলার হুমকি। পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী হানিফ আব্বাসী ভারতের উদ্দেশ্যে সরাসরি হুমকি দিয়ে বলেন, “শাহীন, গৌরী, গজনবীর মতো পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র সাজিয়ে রাখার জন্য নয়—এগুলো শুধুই ভারতের জন্য। ১৩০টি পারমাণবিক মিসাইল আপনাদের দিকেই তাক করা আছে। কোথায় রাখা আছে, আপনারা টেরও পাবেন না।” তাঁর এই হুমকি ঘি ঢেলেছে সীমান্তের আগুনে।

 

 

ভারতের পক্ষ থেকে এ হুমকির কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব না এলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার আগে সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব বৈঠকে পাকিস্তানকে সম্ভাব্য জবাব ও প্রতিরক্ষা কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় দেশই দুই পক্ষকে সংযত আচরণ এবং দায়িত্বশীল সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। ওয়াশিংটনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারত-পাকিস্তান উভয়ই আমাদের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। আমরা আশা করি, দুই দেশই সংলাপ ও পরামর্শের ভিত্তিতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করবে।”

 

 

চীনও জানায়, তারা নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং দুপক্ষকেই সংলাপের মাধ্যমে উত্তেজনা নিরসনের পরামর্শ দিচ্ছে।

এদিকে, পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অভিযুক্তদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা নিয়ে সতর্ক করেছে ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিরোধী দলগুলো বলছে, এমন পদক্ষেপ আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রশ্ন তোলে। তারা এই ঘটনায় প্রশাসনকে আরও সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

 

 

সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার এই পরিস্থিতিতে উপমহাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কূটনৈতিক উদ্যোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন বিশ্লেষকরাও।
 

আঁখি

×