
ছবি: সংগৃহীত
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইসলামাবাদ সীমান্ত এলাকায় শত শত ট্যাংক মোতায়েন করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের মোদি সরকারের সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকাতে পাকিস্তান নিজেদের সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করছে।
পাকিস্তানের এই প্রস্তুতিতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোও এগিয়ে এসেছে, এর মধ্যে অন্যতম তুরস্ক। সম্প্রতি তুরস্কের বিমান বাহিনীর একটি ‘সি-১৩০ হারকিউলিস’ সেনাপণ্যবাহী বিমান করাচি বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
অনেকেই ধারণা করছেন, উক্ত বিমানে যুদ্ধ সরঞ্জাম পৌঁছেছে। সূত্র অনুযায়ী, করাচি ছাড়াও ইসলামাবাদের সামরিক ঘাঁটিতে আরও ছয়টি সামরিক বিমান অবতরণ করেছে। ফ্লাইট রাডার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আঙ্কারা থেকে নিয়মিতভাবে তুর্কি সামরিক বিমান ইসলামাবাদে আসছে। এ বিষয়টি নিয়ে ভারতের বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সামরিক সহযোগিতা বিদ্যমান। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী তুরস্কে নির্মিত অস্ত্রের অন্যতম বড় ক্রেতা। দুই দেশ একাধিক ব্যয়বহুল সামরিক প্রকল্পে একসাথে কাজ করছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান কাশ্মীর ইস্যুতে বরাবরই পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান তিন বিমানঘাঁটিতে এফ-৬, জে-১০ এবং জে এফ-৭ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি চীন থেকেও সামরিক সহায়তা পাচ্ছে ইসলামাবাদ। চীন ইতোমধ্যেই পাকিস্তানে অত্যাধুনিক পিএলএফ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে, যা ভারতের রাফাল ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় প্রযুক্তিগতভাবে অনেক এগিয়ে। এই ক্ষেপণাস্ত্র স্কারদু ও সোয়াত ঘাঁটিতে মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়াও বেইজিং থেকে জেট-২০ স্টেলথ ফাইটারও পাঠানো হয়েছে ইসলামাবাদে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তান-চীন-তুরস্ক ত্রিমুখী সামরিক বন্ধুত্ব দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার জন্ম দিচ্ছে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বশক্তিগুলো একে একে পক্ষ নিচ্ছে। পাকিস্তানের পাশে যেমন চীন ও তুরস্ক সরাসরি অবস্থান নিয়েছে, তেমনি সৌদি আরবের সমর্থনের কথাও শোনা যাচ্ছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=LcOyHlooxlw
রাকিব