ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

যুদ্ধবিমান কিনলো ভারত, পাকিস্তানকে সমর্থন দিলো তুরস্ক ও চীন

প্রকাশিত: ০২:৪২, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

যুদ্ধবিমান কিনলো ভারত, পাকিস্তানকে সমর্থন দিলো তুরস্ক ও চীন

ছবিঃ সংগৃহীত

পেহেলগামে হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে উত্তেজনা। আশঙ্কা রয়েছে, ২৬ বছর পর আবারও যুদ্ধে জড়াতে পারে দুই দেশ। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়াতে উদ্যোগ নিল ভারত।

সোমবার ২৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কিনতে প্যারিসের সঙ্গে চুক্তি সই করে নয়াদিল্লি। ৭৪০ কোটি ডলারের এই চুক্তির আওতায় ২২টি সিঙ্গেল সিটার ও ৪টি টুইন সিটার ফাইটার জেট যুক্ত হবে ভারতীয় নৌবাহিনীতে। বিমানবাহিনীতে ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান থাকলেও নৌবাহিনী এখনো রাশিয়ার মিগ-২৯ জেট ব্যবহার করে। ২০৩০ সালের মধ্যে ফ্রান্স সবকটি যুদ্ধবিমান সরবরাহ করবে।

উল্টোদিকে বসে নেই পাকিস্তানও। যুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যেই পাকিস্তানকে পিএল-১৫ মিসাইল সরবরাহ করেছে চীন। ইউরেশিয়ান টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশেষ এই মিসাইলটি চীনের বিমানবাহিনী নিজস্ব ব্যবহারের জন্য তৈরি করেছে। অত্যাধুনিক এই মিসাইলের রেঞ্জ ও গতি ভারতের রাফায়েল জেটে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়েও বেশি।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই পক্ষকেই সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে চীন ও তুরস্ক। যদিও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর বক্তব্যে পাকিস্তানের প্রতি সমর্থনের ইঙ্গিত ছিল।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, "পাকিস্তানের জনগণের প্রতি আমরা সমর্থন ব্যক্ত করেছি। আমরা বিশ্বের কোনো প্রান্তেই সংঘাত চাই না। উত্তেজনা প্রশমনের জন্য জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পাকিস্তান ও ভারতের নেতৃত্বকে আহ্বান জানাচ্ছি। সম্পূর্ণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।"

এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, যে কোনো মুহূর্তে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত। তিনি জানান, স্থল, নৌ অথবা আকাশসীমায় যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী।

পেহেলগামে হামলার জন্য পাকিস্তান সরকারকে দায়ী করছে ভারতের বিজেপি এবং কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। সোমবার ভারত ও ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশের পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, "পাকিস্তান ও তাদের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছি। শত্রুর বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।"

আরও একজন বলেন, "ভারত সরকারকে বলছি, আপনারা দ্রুত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, যাতে তারা আর কখনো এমন হামলার সাহস না পায়।"

পেহেলগামে হামলার ছয় দিন পেরিয়ে গেছে। সময়ের সাথে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলছে এবং বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা। স্বভাবসুলভ আতিথেয়তায় দেশ-বিদেশের পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছেন সাধারণ কাশ্মীরিরা।

সূত্রঃ https://youtu.be/aC0wBoXkhdk?si=pvCJhr9uZR8fTrRZ

ইমরান

×