
ছবি: সংগৃহীত।
ভারতে তিন দশক ধরে বসবাস করা পাকিস্তানি নাগরিক সারদা বাইয়ের ভাগ্যে নেমে এসেছে অনিশ্চয়তা। ওডিশার বোলাঙ্গিরের বাসিন্দা মহেশ কুকরেজাকে বিয়ে করে দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বসবাস করলেও, কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলার পর ওডিশা পুলিশ তাঁকে দ্রুত দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সারদার ভিসা ইতোমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভারত না ছাড়লে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে অবস্থানকালে সারদা ভোটার আইডি কার্ডও সংগ্রহ করেছিলেন। তবে এত বছর পরও ভারতীয় নাগরিকত্ব পাননি তিনি।
সারদা জানান, পাকিস্তানে তাঁর আর কোনো আত্মীয়স্বজন নেই। পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন না করতে ভারত সরকারের কাছে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, "পাকিস্তানে আমার কোনো আপনজন নেই। ৩০ বছর আগে ভারতে এসেছি, এই দেশকেই আমার নিজের দেশ মনে করি। এমনকি আমার পাসপোর্টটিও বহু পুরোনো। আমার দুটি সন্তান এবং নাতিপুতিরা আছে। আমি তাঁদের সঙ্গে এখানেই থাকতে চাই। করজোড়ে অনুরোধ করছি, আমাকে আমার পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন না।"
তবে তাঁর এই আবেগঘন অনুরোধেও প্রশাসন অনড় রয়েছে। বোলাঙ্গির পুলিশ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভারত না ছাড়লে সারদার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নতুন করে চরমে পৌঁছেছে। হামলার পরদিনই ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশকিছু কঠোর পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে ভারতে অবস্থানরত সব পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সায়মা ইসলাম