ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

পালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা, কোথায় পালাবে নেতানিয়াহু!

প্রকাশিত: ২২:১২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ২২:১৫, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

পালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা, কোথায় পালাবে নেতানিয়াহু!

ছবিঃ সংগৃহীত

যুদ্ধে যেতে না চাওয়া, অপ্রশিক্ষিত যোদ্ধা আর ফাঁকা ব্যারাক — চরম সংকটে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। গাজার ফ্রন্টে একের পর এক ভেঙে পড়ছে প্রস্তুতির দেয়াল। মোটকথা, নেতানিয়াহু সরকারের মাথায় হাত।

রেডিও তেহরানের অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইলের বিরোধী দলের প্রধান ইয়ায়ার লাপিদ কঠোর ভাষায় সমালোচনা করে বলেছেন, ইহুদি হারেদি বা অর্থোডক্স সম্প্রদায়ের সেনাবাহিনীতে কাজ না করার প্রবণতা ইসরাইলের রিজার্ভ সৈন্যদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে। শাসকগোষ্ঠী তাদের এই অবস্থানকে সমর্থন করে সংকটকে আরও গভীর করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইহুদিবাদী শাসন ব্যবস্থার শুরু থেকেই হারেদি সামরিক পরিষেবার বিষয়টি অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা ডানপন্থী এবং বামপন্থী রাজনৈতিক নীতির মধ্যে বড় ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনার বরাতে জানা গেছে, লাপিদের সাফ কথা — "যে সেনাবাহিনীতে চাকরি করবে না, সে যেন সরকারের বাজেট থেকে এক শেকেলও না পায়।" তার এই বক্তব্য ইসরাইলি রাজনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষ এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে চলমান উত্তেজনার ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।

ইসরাইলের কান টিভি এবং অন্যান্য গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী এখন গোলানি এবং গিভাতি ব্রিগেড থেকে প্রশিক্ষণ ছাড়াই সৈন্যদের সরাসরি গাজার ফ্রন্টে পাঠাচ্ছে।

গত ডিসেম্বর থেকেই দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর সেনাবাহিনীর ব্যারাকগুলো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি টাইমস অব ইসরায়েলজেরুজালেম পোস্ট-এর মত গণমাধ্যমগুলোতেও বলা হয়েছে, প্রায় ২০,০০০ সৈন্যের ঘাটতি রয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে।

তেল আবিব থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় পত্রিকা ইয়েদিয়ত আহারনোট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গাজায় দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের কারণে ইসরাইলি সেনাবাহিনী চরম চাপে পড়েছে; রিজার্ভ এবং সক্রিয় সদস্যদের সংকট দেখা দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন সময় কখনো আসেনি, যখন ইসরাইলি শাসন ব্যবস্থার এত বড় সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন হয়েছিল।

এদিকে গেল বৃহস্পতিবার হামাসের হামলায় ইসরাইলের এক সৈন্য নিহত হন এবং আরও কয়েকজন আহত হন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ বাহিনীর হামলা।

২৬ এপ্রিল, শনিবার, ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী ইসরাইলের নেগেভ মরুভূমির নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। দেশটির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে জানান, এই হামলায় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি "ফিলিস্তিন-টু" হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

একদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস, অন্যদিকে লোহিত সাগরের মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে ওঠা ইয়েমেনি বাহিনীর হুটহাট হামলা — মরার উপর খাড়ার ঘা ইসরাইলি সৈন্য সংকট। সব মিলিয়ে বেশ বিপদেই রয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার — এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সূত্রঃ https://youtu.be/QJpSks0n1oA?si=e0TaE-_WvslaL1op

ইমরান

×