ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

নিউইয়র্ক টাইমস এর প্রতিবেদন

পাকিস্তানে হামলা করতে যাচ্ছে ভারত!

প্রকাশিত: ১৩:৪১, ২৮ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৩:৪২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

পাকিস্তানে হামলা করতে যাচ্ছে ভারত!

ছবি: সংগৃহীত

জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতি সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইতিমধ্যেই দুই পক্ষকে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে।

তবে ভারত আপাতত শান্তির পথে হাঁটছে না বলে ইঙ্গিত মিলেছে। বরং, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে — এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

নিউইয়র্ক টাইমসের রবিবারের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। দিল্লিতে অবস্থিত শতাধিক বিদেশি কূটনীতিকের সাথেও নিয়মিত বৈঠক করছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তবে এই আলোচনা কেবল সমর্থন সংগ্রহের জন্য নয় — বরং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরার জন্য — এমন দাবি করেছেন অন্তত চারজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক।

প্রধানমন্ত্রী মোদি, গত বৃহস্পতিবার দেওয়া এক ভাষণে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করেই ‘সন্ত্রাসী আস্তানাগুলো ধ্বংস’ এবং ‘কঠোর শাস্তি’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিশ্লেষকদের মতে, এটি আসলে একটি স্পষ্ট বার্তা, যার লক্ষ্য পাকিস্তান।

ইতিমধ্যে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় টানা কয়েক রাত ধরে ছোট অস্ত্র দিয়ে গোলাগুলি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কেউ কেউ জানিয়েছেন তিন রাত ধরেই সংঘর্ষ চলেছে, আবার কারও মতে, তিন রাতের মধ্যে দু'রাতে গোলাগুলি হয়েছে।

কাশ্মিরের ভেতরেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান চালাচ্ছে এবং সন্ত্রাসী হামলার সাথে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করতে শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারত ইতিমধ্যে পাকিস্তানমুখী নদীগুলোর পানিপ্রবাহ সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানি দূতাবাসের কিছু কর্মী ও ভারতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতের সাথে একাধিক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি — বিশেষ করে নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) যুদ্ধবিরতির চুক্তি — স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।

কাশ্মিরের বাইরের শহরগুলোতে বসবাসরত বা পড়াশোনা করা কাশ্মিরি মুসলিম শিক্ষার্থীরা ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অনেকেই হুমকি ও হামলার ভয়ে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ভারতের ভেতরে মুসলিমবিরোধী মনোভাব বাড়ার বিষয়টিও এই সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে।

ফারুক

×