ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

ভুয়া সংবাদ ছড়ালো ’র’? কাশ্মীরে হামলার দায় অস্বীকার রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের

প্রকাশিত: ১১:২৯, ২৮ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১১:৩৮, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ভুয়া সংবাদ ছড়ালো ’র’? কাশ্মীরে হামলার দায় অস্বীকার রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের

ছবিঃ সংগৃহীত

শনিবার সূর্যাস্তের আগেই ভারতের কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় বুলডোজার দিয়ে ছয়টি বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং বেশ কিছু স্থানীয় ঠিকানায় তল্লাশি পরিচালিত হয়েছে। ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন অপরাধীকে চিহ্নিত করেছে, যারা বিভিন্ন অপরাধী দলের সাথে সক্রিয় বলে জানা গেছে। তবে, পেহেলগামে পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনায় এখনও কোন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা লস্কর-ই-তইবা শাখা "দ্য রেজিস্ট্যান্ট ফোর্স" (TRF) পেহেলগাম হামলার দায় অস্বীকার করলেও, আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যম তাদের দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। এদিকে, হামলার পর, পাকিস্তানকে পরোক্ষভাবে মদদদাতা হিসেবে দায়ী করে ভারতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। তবে, TRF হামলার দায় অস্বীকার করেছে এবং ভারতীয় গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে।

এদিকে, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের মধ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, "সিন্ধুর পানি আটকে রাখা হলে, ভারতকে পাল্টা আঘাত করার জন্য পাকিস্তান সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগে প্রস্তুত।" তিনি আরো অভিযোগ করেন, ভারতে যেকোনো সন্ত্রাসী হামলার দায় পাকিস্তানের উপর চাপানো হয়। পাকিস্তান সরকার এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে, এবং আন্তর্জাতিকভাবে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

পেহেলগামে হামলার পর, সেখানে নেপালি এক পর্যটক নিহত হন। এই ঘটনায় নেপাল ও অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে, যেখানে সমাবেশ ও সংহতি সভার আয়োজন করা হয়। পাকিস্তানেও ব্যাপক প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।

এর পাশাপাশি, সিন্ধুর পানি নিয়ে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন বিতর্কের জন্ম হয়েছে। ভারতীয় সরকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সিন্ধুর উপনদী ঝিলমের পানি ছেড়ে দিয়েছে, যার কারণে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কিছু অংশে মাঝারি ধরনের বন্যা দেখা দিয়েছে। এর ফলে, পাকিস্তানের মোজাফফরবাদ প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

এই ঘটনাগুলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আলোচনা এবং প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে, এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন আরো গভীরতর হয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ https://youtu.be/hTIVWx66Epw?si=YamLxFFNjiWe81Ar

মারিয়া

×