
ছবিঃ সংগৃহীত
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা আবার নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে জোরালো হয়ে উঠেছে। ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম এখন পরিণত হয়েছে পাল্টাপাল্টি ট্রল এবং মিমের অঙ্গন, যেখানে দুই দেশের জনগণ একে অপরকে নানা ধরনের ট্রল, কটূক্তি ও মিমের মাধ্যমে আক্রমণ করছে। পরিস্থিতি এতটাই তীব্র যে, গণমাধ্যমও এই উত্তেজনাকে তাদের প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরছে, এবং এতে অনেক সময় ফেক নিউজও ছড়ানো হচ্ছে।
সম্প্রতি, এক ভারতীয় যুবক লন্ডনের রাস্তায় পাকিস্তানি দূতাবাসের দিকে আক্রমণাত্মক অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়। পুলিশ তাকে পরিমার্জিতভাবে আটক করে। এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এবং পাকিস্তানের গণমাধ্যমসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করে।
এদিকে, ২০১৯ সালে পাকিস্তানের হাতে আটক হওয়া ভারতীয় বিমান সেনা অভিনন্দনকে একটি চা সরবরাহ করা হয়েছিল। তার সেই চা নিয়ে সম্প্রতি নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, যেখানে ভারতীয়রা তাদের বিক্ষোভের অংশ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তানি দূতাবাসও এই ইস্যু নিয়ে কিছু মজা করেছে, যা ভার্চুয়াল যুদ্ধের মতো মিম এবং ট্রলের ঢেউ সৃষ্টি করেছে।
দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে এবার ভার্চুয়াল লড়াইয়ে নেমেছে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের জনগণ, যেখানে অধিকাংশ মিম হিন্দু-মুসলিম বিতর্কের পেছনে ঘুরছে। গণমাধ্যমও এই উত্তেজনা কেন্দ্রিক টকশো উপস্থাপন করছে, যা নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।
তবে, এসব হাস্যরসের পেছনে কিছু গুরুতর প্রশ্নও উত্থাপিত হচ্ছে। যেমন, পেহেলগামে হামলা সংক্রান্ত নিরাপত্তা ত্রুটি নিয়ে সম্প্রচারের সময় এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্ন তোলায় তাকে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসব ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়া এবং মূলধারার গণমাধ্যমে চর্চা চলছে, যা উত্তেজনাকে আরও বৃদ্ধি করছে।
মারিয়া