ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় মধ্যস্থতা: ইরানের কথায় ভারত চুপ, পাকিস্তানের ইতিবাচক সাড়া

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ২৮ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০৭:২৭, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় মধ্যস্থতা: ইরানের কথায় ভারত চুপ, পাকিস্তানের ইতিবাচক সাড়া

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিরসনে ও মধ্যস্থতায় এগিয়ে এসেছে ইরান। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নেতৃত্বে নেওয়া এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান। পাশাপাশি সিন্ধু নদীর পানি ইস্যুতে কঠোর অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ স্পষ্ট করে বলেছেন বলেছেন, ‘পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। পাকিস্তান যে কোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে।’ সিন্ধু পানির অধিকার নিয়ে ভারতকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না, এ কথা ইরানকেও জানিয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ।

শনিবার ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। ওই আলোচনায় শেহবাজ শরীফ ইরানকে আশ্বস্ত করে জানান, পেহেলগাম হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের সরাসরি বা পরোক্ষ কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বরং পাকিস্তান নিজেই বিগত দুই দশক ধরে সন্ত্রাসবাদের অন্যতম বড় ভুক্তভোগী, যেখানে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ও ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।

শেহবাজ শরীফ বলেন, পাকিস্তান এ অঞ্চলে শান্তি চায় এবং ইরান যদি উত্তেজনা প্রশমনে কোনো ভূমিকা রাখতে চায়, তবে পাকিস্তান তা স্বাগত জানাবে। একইসঙ্গে কাশ্মীরি জনগণের ন্যায্য দাবির পক্ষে জাতিসংঘের প্রস্তাবসমূহের আলোকে পাকিস্তান সর্বদা সমর্থন দিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে, ইরানের মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিয়ে ভারত এখনো স্পষ্ট কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত, চিরাচরিত কূটনৈতিক বিবৃতি ছাড়া আর কোনো মন্তব্য আসেনি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক সম্পর্ক তেমন উষ্ণ নয়। গত সেপ্টেম্বরে তেহরানে এক সমাবেশে আয়াতুল্লাহ খামেনী ভারতের মুসলিম জনগণের দুর্দশা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, যা নিয়ে নয়াদিল্লি পরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। সেই অভিজ্ঞতার কারণে ইরানের বর্তমান প্রচেষ্টার প্রতি ভারত সংযত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে, পেহেলগাম হামলায় জড়িত থাকার বিষয়ে ভারতের যদি কোনো অকাট্য প্রমাণ থাকে, তবে তা উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত ভারত সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ তুলে ধরেনি। উল্টো সিন্ধু পানি চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নয়াদিল্লি এবং পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ওপর পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে ইসলামাবাদ।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=FBa255utxps

রাকিব

×