
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলে ফের প্রকৃতির ভয়াল রূপ! কথায় আছে, সৃষ্টিকর্তা ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। এবার বিশ্ব আবারও দেখছে প্রকৃতির ভয়াল রূপ। গাজায় নির্বিচারে গণহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের শাস্তি হিসেবেই কি এবার প্রকৃতি ইসরায়েলকে অভিশাপের আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে, এমন প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।
ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমের আশপাশের আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও দেশের অন্যান্য অংশে এখনও বহু এলাকায় দাবানলের ভয়াবহতা অব্যাহত রয়েছে। তীব্র গ্রীষ্মের দাবদাহ এবং বাতাসের প্রবল বেগে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে বনাঞ্চল থেকে জনবসতিতে। ফলে সাধারণ মানুষের জানমাল পড়ছে হুমকির মুখে।
ভয়াবহ আগুনের কারণে শহরের সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। টানা ২০ ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর কিছু এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ১০০টিরও বেশি অগ্নিনির্বাপক ইউনিট, ছয়টি বিমান এবং সেনাবাহিনীর প্রযুক্তিগত ও লজিস্টিক বিভাগ। ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ কমিশনার রিয়াল কসপি জানান, পাঁচটি ভিন্ন স্থানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল এবং ইসরায়েল এয়ারফোর্স, পুলিশসহ অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক একযোগে কাজ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
বেইত তা’মির এলাকার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী রাবিন পার্কের দিকেও আগুন যেন ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য আকাশ ও স্থলপথে নানা তৎপরতা চালানো হয়। প্রাথমিক হিসাবে, এই দাবানলে প্রায় ২ হাজার ৪৭১ একর জমি পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী একটি এয়ারিয়াল ম্যাপ তৈরি করে, যা ফায়ার সার্ভিসকে কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করেছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে ইসরায়েল ভয়াবহ দাবদাহের মুখোমুখি হয়। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালের অগ্নিকাণ্ডের মাত্র ৯ শতাংশ এবং ২০২৩ সালের মাত্র ১৪ শতাংশ ঘটনার উৎস তদন্ত করা হয়েছে। এমনকি ২০২০-২০২২ সালের মধ্যে শুরু হওয়া অধিকাংশ তদন্ত এখনো অসমাপ্ত রয়েছে।
ইতিহাস বলছে, ১৯৮৯ থেকে শুরু করে ২০১০, ২০১৫, ২০২১, ২০২৩ এবং সর্বশেষ ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি দুই-তিন বছর অন্তর ইসরায়েল এমন ভয়াবহ দাবানলের সম্মুখীন হয়েছে।
রাকিব