
.
রাশিয়ার সেনাবাহিনী পুরোপুরি কুরস্ক অঞ্চল পুনর্দখল করেছে বলে দাবি করেছে মস্কো। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী আট মাস আগে সেখানে পাল্টা হামলা চালানোর পর এমন দাবি করল রাশিয়া। তবে ইউক্রেন সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, যুদ্ধ এখনো চলছে। রবিবার রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্সের সময় এই ঘোষণা দেন। খবর আলজাজিরার।
তিনি বলেন, রাশিয়ান সৈন্যরা ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা কুরস্কের শেষ গ্রাম গোর্নালকে মুক্ত করেছে। এ সময় পুতিন গেরাসিমভকে বলেন, কিয়েভের অভিযান সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে এই দাবির বিরোধিতা করে বলেছে তাদের সৈন্যরা এখনও কুরস্কের কিছু অংশে যুদ্ধ করছে। টেলিগ্রামে একটি পোস্টে ইউক্রেনের চিফ অব স্টাফ বলেন, ইউক্রেনীয় সেনাদের পরাজয় সম্পর্কে শত্রুদের বক্তব্য প্রচার কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়ান বাহিনী সেখানে ধারাবাহিকভাবে অগ্রগতি অর্জন করেছে। ফলে সেখানে ইউক্রেনের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণের কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে কুরস্কের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চেয়েছিল কিয়েভ। ভ্যালেরি গেরাসিমভ বলেন, উত্তর কোরিয়ার সেনারা ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর একটি দলকে পরাজিত করতে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মস্কোকে সহায়তা করার জন্য গত বছর উত্তর কোরিয়া থেকে ১০ হাজারের বেশি সেনা রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। ইউক্রেনের দাবি, তারা কুরস্কে যুদ্ধরত কয়েকজন উত্তর কোরীয় সেনাকে বন্দি করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রাশিয়া যখন কুরস্ক পুনর্দখলের ঘোষণা দিয়েছে তখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের এক ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি সম্পূর্ণ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
প্যানেল