
ছবি: সংগৃহীত
তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সিরিয়া। তবে কোনো মন্ত্রী বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নয়, এই বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসম্যান কোরি মিলস ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান।
শুক্রবার ইসরায়েলি গণমাধ্যম টাইমস অফ ইসরায়েল এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গেল সপ্তাহে সিরিয়ায় আল-শারার সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান কোরি মিলস। বৈঠকে সিরিয়ার উপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ নিয়ে ৯০ মিনিটের আলোচনা হয়। মিলস দাবি করেন, এই আলোচনায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-শারা আব্রাহাম চুক্তিতে (Abraham Accords) যুক্ত হবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ২০২০ সালে আব্রাহাম চুক্তিতে সই করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কো। পরে সুদানও এই উদ্যোগে যোগ দেয়। এখন সিরিয়া যুক্ত হলে ইসরায়েলের একমাত্র প্রতিবেশী দেশ লেবানন ছাড়া সবাই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এতে করে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বড় ধাক্কা খাবে।
কোরি মিলস আরও জানান, আল-শারার লেখা একটি চিঠি তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন, যদিও চিঠির বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে, ফেব্রুয়ারিতে দ্য ইকোনমিস্ট-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-শারা বলেছিলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না, তবে প্রক্রিয়াটি জটিল। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৬৭ সালে যুদ্ধে পরাজয়ের পর গোলান মালভূমি ইসরায়েলের দখলে চলে যায়। এ ভূখণ্ড ফেরত না পেলে ভবিষ্যতে শান্তি স্থাপন কঠিন হবে।
বিশ্লেষক গার্মেট ভ্যালেন্সি মনে করেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-শারার শান্তির আহ্বান নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শান্তি স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, সিরিয়ার বর্তমান নেতৃত্বের কোনো সুগভীর পরিকল্পনা আছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=p5hTVVxXfF0
রাকিব