
ছবিঃ সংগৃহীত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পেহেলগামে হামলার পর অপরাধীদের কল্পনাতীত শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করার পর, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে শুরু হয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপির ‘বুলডোজার নীতি’। পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর গুলিতে ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর মূল অপরাধীদের আটক করা না গেলেও, প্রশাসন শুক্রবার থেকে সন্দেহভাজনদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিতে শুরু করেছে।
শুক্রবার অনন্তনাগ জেলায় দুটি বাড়ি ধ্বংস করা হয়। শনিবারও অভিযান চালিয়ে আরও দুটি সন্দেহভাজনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এবং অন্যটি বুলডোজার চালিয়ে ধ্বংস করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করেছে, এই বাড়িগুলো পেহেলগামে চিহ্নিত দুই জঙ্গির সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল।
তবে অভিযুক্তদের পরিবার বলছে, অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত পুরো পরিবারের উপর এভাবে শাস্তি চাপানো অন্যায়। এক ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য বলেন, "নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এসে আমাদের প্রতিবেশীর বাড়িতে চলে যেতে বলে। আমি দেখেছি, ছদ্মবেশী পোশাক পরা একজন ব্যক্তি আমাদের বাড়ির ছাদে বোমার মতো কিছু রাখছিল। এরপর আমাদের চোখের সামনে পুরো বাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। আমাদের দোষ কী? যদি আমার ভাই কোনো অপরাধ করে থাকে, তার শাস্তি আমরা কেন পাবো?"
স্থানীয়রা বলছেন, কাশ্মীরে এ ধরনের কৌশল একেবারেই নতুন। অতীতে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, সন্দেহের ভিত্তিতে ঘরবাড়ি ভাঙার ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ্য, বিজেপি শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্যে বুলডোজার নীতির ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বেশ কয়েকবার প্রশাসনকে ভৎসনা করেছে। তবে জম্মু-কাশ্মীরে এ ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এখনো কোনো নির্দেশনা দেয়নি দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
মারিয়া