ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

হামলার সময় সেনাবাহিনী কোথায় ছিলো? রাহুল গান্ধীর প্রশ্নে ঘামলো ভারত সরকার

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ২৭ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০৭:১৯, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

হামলার সময় সেনাবাহিনী কোথায় ছিলো? রাহুল গান্ধীর প্রশ্নে ঘামলো ভারত সরকার

ছবিঃ সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামের বৈসারণ তৃণভূমিতে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারতের অভ্যন্তরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটনের ভরা মৌসুমে এত বড় হামলার সময় সেখানে কেন কোনো নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল না, তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। ঘটনার পরম্পরা ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য, আর সরকারকে লক্ষ্য করে বিরোধীদের সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

ঘটনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সর্বদলীয় বৈঠকে বসে। সেখানে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ বিরোধী দলের নেতারা প্রশ্ন তোলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন কোনো সেনা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিল না। বিশেষ করে, বৈসারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্রে এমন শিথিল নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈসারণ তৃণভূমিতে সাধারণত জুন মাস থেকে বার্ষিক অমরনাথ যাত্রার সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। ওই সময় যাত্রাপথ আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয় এবং তীর্থযাত্রীরা বৈসারণে বিশ্রাম নেন। তাই, তীর্থযাত্রার আগে সেখানে সাধারণত কোনো নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকে না।

সরকারি প্রতিনিধিরা আরও জানান, স্থানীয় পর্যটন অপারেটররা এপ্রিলের ২০ তারিখ থেকেই পর্যটকরা সেখানে নিয়ে যাওয়া শুরু করেছিল। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এই আগাম ভ্রমণের বিষয়টি সরকারকে জানায়নি, ফলে নির্ধারিত সময়ের আগে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধী নেতারা পাকিস্তানের সাথে 'সিন্ধু পানি চুক্তি' স্থগিতের কারণও জানতে চান। তাদের প্রশ্ন ছিল, ভারত যদি এখনো কোনো বাধ নির্মাণ না করে, তবে পানিপ্রবাহ কীভাবে আটকাবে? সরকারের পক্ষে জানানো হয়, চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ছিল মূলত প্রতীকী এবং কৌশলগত। এর মাধ্যমে একটি কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, সরকার প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ https://youtu.be/6dyFgNo4MyQ?si=RxDZRuSgOehO0k9R

মারিয়া

×