
তেড়ে এসেছিল বন্দুকধারী । বেঁচে থাকবেন, আশাই করেননি ভারতের অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক দেবাশিস ভট্টাচার্য। চোখের সামনে তিনি পাশের পর্যটককে মরতে দেখেছেন। নিজে বেঁচে গিয়েছেন কেবল উপস্থিত বুদ্ধি আর কপালের জোরে। বন্দুকধারীকে আসতে দেখেই তিনি কলমা পড়তে শুরু করেছিলেন
পরিবার নিয়ে কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেবাশিস।
গেল মঙ্গলবার পহেলগাঁওতে ছিলেন। নিউজ় ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি হামলার মুহূর্তের বর্ণনা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁর পাশে গাছের নীচে শুয়ে কয়েক জন কলমা পড়ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে শুনে শুনে তিনিও কলমা পাঠ করতে শুরু করেন। দেবাশিসের ধারণা, সেই কলমাই তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘পাশের গাছের তলায় দাঁড়িয়ে অনেকে বিড়বিড় করে কলমা পড়ছিলেন। আমি তাঁদের দেখাদেখি সহজাত ভাবেই কলমা পড়তে শুরু করি। কিছু ক্ষণের মধ্যে এক জন আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। আমার পাশে যিনি ছিলেন, সরাসরি তাঁর মাথায় গুলি করে।’’ এর পর দেবাশিসের দিকে তাকায় সেই বন্দুকধারী ।
তাঁর কথায়, ‘‘সোজাসুজি আমার দিকে তাকিয়ে ও জিজ্ঞেস করল, ‘কী করছ?’ আমি তখন আরও জোরে জোরে কলমা পড়তে শুরু করে দিয়েছিলাম। আমি জানি না, কী ভেবে আমি এটা করলাম। এর পর ওই বন্দুকধারী মুখ ফিরিয়ে চলে গেল।’’
দেবাশিস জানিয়েছেন, বন্দুকধারী চলে যাওয়ার পর পরিবার নিয়ে উল্টো দিকে পাহাড়ি পথে হাঁটা শুরু করেন তিনি। প্রায় দু’ঘণ্টার জন্য ‘ট্রেক’ করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছোন। ঘোড়ার পায়ের ছাপ দেখে এই দু’ঘণ্টা হেঁটেছিলেন দেবাশিসেরা। পরে ঘোড়ার পিঠে চড়ে হোটেলে ফেরেন। দেবাশিস বলেছেন, ‘‘আমি যে এখনও বেঁচে আছি, সেটাই বিশ্বাস হচ্ছে না।’’
সূত্র: আনন্দবাজার
ফুয়াদ