
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিনদের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি কিংবা সামরিক বোঝাপড়া, ইরানের সামনে এই দুটি পথই খোলা রয়েছে বলে দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তেহরানের পরমাণু কর্মসূচিতে চিরকালের জন্য ইতি টানতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্র ও তার দোসর ইসরাইল। তবে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে দু'দফা আলোচনা হলেও চুক্তির বিষয়ে এখনো কোনো বোঝাপড়ায় পৌঁছায়নি তেহরান ও ওয়াশিংটন।
এবার তৃতীয়বারের মতো আলোচনায় বসতে যাচ্ছে দুই দেশ। শনিবার ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আল-বুসাইদির মধ্যস্থতায় হতে চলেছে এই পরোক্ষ বৈঠক। এরই মধ্যে মাসকাটে পৌঁছেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ও কূটনীতিকদের একটি দল।
এবারের বৈঠকের মূল লক্ষ্য ২০১৫ সালের ইরান পরমাণু চুক্তির পরিবর্তে বাস্তবসম্মত ও পরিমার্জিত নতুন চুক্তির খসড়া তৈরি বলে জানিয়েছেন আরাগচি। ইরানি মুখপাত্র বাঘাই জানান, এই আলোচনায় ইরানের উপর থেকে অমানবিক ও বেআইনি নিষেধাজ্ঞা দ্রুত তুলে নেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করবেন তারা। তাদের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের অধিকার থেকে এক চুলও পেছাবেন না তারা।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরান এমন এক পর্যায়ে রয়েছে যেখানে তাদের ইউরেনিয়াম মজুদের মাত্রা অস্ত্র সক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এ অবস্থায় চুক্তি না হলে সামরিক সংঘর্ষের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না ট্রাম্প প্রশাসনও।
ট্রাম্প বলেন, "আমি মনে করি ইরান বিষয়ে আমরা বেশ কিছুটা এগিয়েছি। তাদের কাছে শুধুমাত্র দুটি বিকল্প আছে, যার মধ্যে একটি মোটেও শুভ নয়। তবে যদি চুক্তি সফল হয়, তবে অনেকগুলো প্রাণ বেঁচে যাবে, এটা আমি নিশ্চিত করতে পারি।"
এ অবস্থায় হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এ সপ্তাহেই বড় সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইরান স্পষ্ট করে বলেছে, ন্যায্য ও বাস্তবসম্মত চুক্তি ছাড়া কোনো আপোস হবে না। মাসকাটের আলোচনাই ঠিক করবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান এ সংঘর্ষ এড়াতে পারবে কিনা।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=mcGxNZwm16o
আবীর