
ছবি সংগৃহীত
ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরে ২৬ জন হত্যাকাণ্ডের জেরে গোটা দেশজুড়ে আবারও উগ্র সাম্প্রদায়িক সহিংসতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে ২৩ এপ্রিল মধ্যরাতে উত্তর প্রদেশের আগ্রা শহরে গুলফাম নামের এক মুসলিম যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে তিনজন হামলাকারী।
দ্য প্রিন্ট সংবাদমাধ্যম জানায়, গুলফাম ছিলেন একটি বিরিয়ানির দোকানের মালিক। ঘটনার সময় তিনি দোকান বন্ধ করে পরিষ্কারের কাজ করছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার চাচাতো ভাই সাইফ আলী। হঠাৎ মোটরসাইকেলে করে তিনজন অস্ত্রধারী এসে কোনো কথা না বলেই গুলফামের বুকে গুলি চালায়।
সাইফ আলীকেও লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়, যা তার ঘাড়ে লাগে। তবে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। এখন তিনি আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না।
ঘটনার ঠিক একদিন পর হামলাকারীদের একজন সামাজিকমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করে জানায়, তারা জম্মু-কাশ্মিরের ঘটনার ‘প্রতিশোধ’ নিতে ২,৬০০ মুসলিমকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে। ওই ব্যক্তি নিজেকে “ক্ষত্রিয় গোরক্ষক দল”-এর সদস্য বলে পরিচয় দেয়।
পুলিশ ভিডিও বিশ্লেষণ করে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে ভিডিওতে দেখা গেছে বলে নিশ্চিত করেছে তারা। তবে বাকিদের ধরতে এখনো তল্লাশি চলছে। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি রাজনৈতিক সুবিধা পেতেই উগ্র গোষ্ঠীর নাম ব্যবহার করছে।
গুলফামের মা জুবাইদা কাঁদতে কাঁদতে জানান, “বদলা নিতে হলে ছেলেটাকে মারধর করত, হাত-পা ভেঙে দিত। অন্তত প্রাণে তো বেঁচে থাকত।” মায়ের কথা মনে করে কয়েকদিন আগেই ছেলেটি গরমে কষ্ট হচ্ছিল বলে ঘরে কুলার কিনে এনেছিল । সূত্র: দ্য প্রিন্ট
আশিক