ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমা কতটা শক্তিশালী ?

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ২৬ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১০:০১, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমা কতটা শক্তিশালী ?

ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিল এক প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ভারত সরকার মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটির মাধ্যমে ঐতিহাসিক  সিন্ধু জলচুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান জানায়, ভারতের যেকোনো পদক্ষেপ যা পাকিস্তানের পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করবে, তা তারা যুদ্ধ ঘোষণার সামিল হিসেবে দেখবে এবং জাতীয় শক্তির সমস্ত স্তরের মাধ্যমে জবাব দেবে।

 

 

পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যম ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের যদি পানি বন্ধের উদ্দেশ্যে কোনো বাঁধ নির্মাণ করে, তাহলে পাকিস্তান সেই স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে পুরো যুদ্ধশক্তি প্রয়োগ করবে। এই যুদ্ধশক্তির প্রয়োগকে অনেক বিশ্লেষকই পরোক্ষভাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।

পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা চালায় এবং তারপর থেকেই দেশটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। ‘বুলেটিন অফ দ্য অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস’-এর তথ্যমতে, বর্তমানে পাকিস্তানের কাছে প্রায় ১৭০টি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড রয়েছে। এর মধ্যে ‘শাহীন থ্রি’ মিসাইলটি সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্র হিসেবে ধরা হয়, যা ভারতের অভ্যন্তরে দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

 

 

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি পাকিস্তান 'শাহীন থ্রি' ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলা চালায়, তাহলে তা হিরোশিমার চেয়েও তিন গুণ বেশি ধ্বংসাত্মক হতে পারে। হিরোশিমায় যেখানে প্রায় দেড় লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল, সেখানে ভারতের কোনো বড় শহরে এমন হামলায় মৃত্যু হতে পারে তিন থেকে চার লাখ মানুষের। শুধু প্রাণহানিই নয়, এমন হামলায় সৃষ্টি হবে ভয়াবহ তেজস্ক্রীয়তা ও পরিবেশ বিপর্যয়, যার প্রভাব গোটা দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে এবং অঞ্চলটিকে এক গভীর অন্ধকার যুগে ঠেলে দিতে পারে।

 

 

এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, এই সংকটের ভবিষ্যৎ কী? সিন্ধু জলচুক্তি কি টিকে থাকবে, নাকি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের এই অবনতির ফলে পুরো দক্ষিণ এশিয়া আরও এক অনিশ্চিত, বিপজ্জনক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে? জনমনে এখন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।

 

সূত্র:https://youtu.be/pziEdCX3PJs?si=Kl1lQ3O7cVsLwJi7

আঁখি

×