ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

যুদ্ধ হলে কে জিতবে ভারত নাকি পাকিস্তান?

প্রকাশিত: ০৮:৫৩, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

যুদ্ধ হলে কে জিতবে ভারত নাকি পাকিস্তান?

ছবি সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ার চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান আবারও তীব্র উত্তেজনার মধ্যে দাঁড়িয়ে। দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীর ইস্যুতে বৈরিতা থাকলেও, সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগ্রামে একটি পর্যটন এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ মোড় নিয়েছে।

নয়াদিল্লির দাবি, এই হামলার সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত ইসলামাবাদ। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে ভারতের পক্ষ থেকে একের পর এক কড়াকড়ি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা বাতিল, সীমান্তে কড়াকড়ি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ১৯৬০ সালের ঐতিহাসিক ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’ স্থগিত।

এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করেই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে যুদ্ধের হুমকি। ইসলামাবাদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, যদি ভারত সিন্ধু নদীর প্রবাহ বন্ধের চেষ্টা করে, তবে তা ‘যুদ্ধের উসকানি’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং পাকিস্তান ‘জাতীয় শক্তির পূর্ণ সক্ষমতা’ দিয়ে এর জবাব দেবে।

এদিকে ভারতও বসে নেই। দেশের গণমাধ্যম জানাচ্ছে, ভারত তার আকাশ ও নৌসেনায় তৎপরতা বাড়িয়েছে। একাধিক সামরিক মহড়া এবং ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের পরীক্ষা চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে শক্তির প্রদর্শনী।

এই অবস্থাকে ঘিরে আবারও ছড়িয়েছে যুদ্ধের শঙ্কা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং বিশেষজ্ঞ মহলে চলছে জোরালো আলোচনা যুদ্ধ হলে কে জিতবে, কার কাছে কী অস্ত্র আছে, পরমাণু সংঘাতের আশঙ্কা কতটুকু?

বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, বাস্তবতা ভিন্ন। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের সম্ভাবনা কম। কারণ উভয় দেশই জানে, বড় ধরনের যুদ্ধ উভয়ের জন্যই ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। তারা উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ-যুদ্ধ শুরু হলে তা শুধু সীমান্ত নয়, পুরো অঞ্চলকেই বিপর্যস্ত করবে।

যুদ্ধ মানে শুধু রণক্ষেত্র নয়, এর অর্থ হবে অর্থনীতির পতন, লাখো মানুষের প্রাণহানি, কোটি মানুষের বাস্তুচ্যুতি এবং দীর্ঘস্থায়ী মানবিক বিপর্যয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই যুদ্ধ হলে কেউই জয়ী হবে না বরং পরাজিত হবে গোটা দক্ষিণ এশিয়া।

তাই শান্তি, কূটনীতি এবং আলোচনার পথই এখন একমাত্র সমাধান এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।

আশিক

×