ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

সিনেমা বনাম বাস্তবতা: কাশ্মীরে গোয়েন্দা ব্যর্থতায় প্রশ্নের মুখে ভারতীয় সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ২৬ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০৭:৫৮, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

সিনেমা বনাম বাস্তবতা: কাশ্মীরে গোয়েন্দা ব্যর্থতায় প্রশ্নের মুখে ভারতীয় সেনাবাহিনী

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের কিছু অ্যাকশন সিনেমায় দেখানো হয়, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতীয় বাহিনীর দুঃসাহসিক অভিযানের প্রতীকী দৃশ্য। পর্দায় সেনারা হয়ে ওঠেন অদম্য, অপরাজেয়। তবে রুপালি পর্দার গল্প বাস্তবের সঙ্গে মেলে না সবসময়।

সম্প্রতি ভারতের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে গোয়েন্দা ব্যর্থতার চিত্র উঠে এসেছে, যার করুণ উদাহরণ কাশ্মীরের পহেলগামে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। ঘটনায় ২৬ জন পর্যটকের প্রাণহানি হয়। অথচ আগেই গোয়েন্দা সূত্রে হামলার আশঙ্কা জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে বিবিসি।

নিরাপত্তা না বাড়িয়ে ভারতীয় প্রশাসন পাকিস্তানের দিকেই আঙুল তুলছে। হামলার পর সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভে ফুঁসছে ভারতবাসী। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, হামলার সময় নিরাপত্তা বাহিনী কোথায় ছিল?

বলিউডে ভারতীয় বাহিনীকে প্রায়শই অত্যন্ত দক্ষ বাহিনী হিসেবে তুলে ধরা হয়। একজন হিরো একাই ধ্বংস করে দেন জঙ্গিদের ঘাঁটি।

পাহেলগামের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনী ২০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন বন্দুকধারীরা পালিয়ে গেছে। গোয়েন্দা তথ্য থাকা সত্ত্বেও পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা না বাড়ানোয় প্রশাসনিক ব্যর্থতা স্পষ্ট মনে করছেন অনেকে।

গোয়েন্দা তথ্য থাকা সত্ত্বেও দেশটির এমন সামরিক ব্যর্থতার ঘটনায় বলিউডের সিনেমার সাথে বাস্তবতাকে তুলনা করে সমালোচনায় মেতে উঠেছেন নেটিজেনরা। বিশ্বে সামরিক শক্তিতে ভারত চতুর্থ স্থানে থাকলেও এই ধরনের হামলায় তাদের প্রস্তুতির ঘাটতি ও তথ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা চোখে পড়ে।

ইতিহাসে ভারত সফল সামরিক অভিযানের নজির রাখলেও এমন গাফিলতিতে প্রশ্ন উঠছে গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দক্ষতা নিয়ে। অনেকে বলছেন, যদি আগে থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হতো, তাহলে হয়তো ২৬টি প্রাণ রক্ষা করা যেত।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=EljmJ6Y6aYI

রাকিব

×