
ছবিঃ সংগৃহীত
জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কের টানাপোড়েন আবারও চরমে উঠেছে। চলছে একে অপরকে দোষারোপ। এমন প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান বৃহস্পতিবার ভারতীয় বিমানগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। ইসলামাবাদের এই সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন খাতে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রভাবশালী গণমাধ্যম প্রো পাকিস্তানি জানিয়েছে, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের কারণে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর প্রতি মাসে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ভারতীয় বিমানগুলোকে বিকল্প রুট ব্যবহার করতে হচ্ছে, ফলে ফ্লাইটের সময় বেড়ে যাচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ মিনিট পর্যন্ত। এতে তেলের খরচ, আনুষঙ্গিক খরচ ও পরিচালন ব্যয়ও অনেকাংশে বেড়ে যাচ্ছে।
এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো জানিয়েছে, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্যের গন্তব্যে তাদের অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনর্নির্ধারণ করতে হচ্ছে। এর ফলে যাত্রীদেরও পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ ফ্লাইট পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করে থাকে। আগেও, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর প্রায় পাঁচ মাস ভারতীয় বিমানগুলোর জন্য পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ রেখেছিল, যার ফলে বিমান সংস্থাগুলোর কোটি কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছিল।
তবে এবারের নিষেধাজ্ঞা কতদিন বহাল থাকবে, সে বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি পাকিস্তান।
মারিয়া