
ছবিঃ সংগৃহীত
যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত সশস্ত্র বাহিনী—এমন হুঁশিয়ারি দিল ভারতকে পাকিস্তান। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বসে এক বিশেষ অধিবেশনে, পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস হয়। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, যেকোনো আগ্রাসন ঠেকাতে ইসলামাবাদ প্রস্তুত।
অন্যদিকে, পাকিস্তানে হামলার জন্য একাট্টা হয়েছে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো। এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুমোদন দিচ্ছে বিরোধী দলগুলোও।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) পাকিস্তানের পার্লামেন্টে জরুরি অধিবেশন বসে। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে দিল্লির নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের জবাব দিতেই এই অধিবেশন ডাকা হয়। ওই সময় ভারতীয় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস হয়। বিশেষ করে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি বাতিলের বিষয়টিকে "যুদ্ধের শামিল" বলে আখ্যা দেয় পাকিস্তান এবং ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেয়, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, “সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাকিস্তান পুরোপুরি প্রস্তুত। আমাদের ওপর যেকোনো আগ্রাসন চালানো হলে তার যথোপযুক্ত জবাব দিতে আমরা তৈরি।”
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুখপাত্র সাফকাত আলি খান বলেন, “সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তিটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। এতে বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা জড়িত। ভারত চাইলে একতরফাভাবে এটি বাতিল করতে পারে না। এমন সিদ্ধান্ত যুদ্ধ ঘোষণার সামিল।”
এর আগে উভয় দেশের মধ্যে পরস্পরবিরোধী নানা কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এবারই প্রথমবার ইসলামাবাদ শিমলা চুক্তি স্থগিত করার পথে এগোচ্ছে। এই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, মতপার্থক্য থাকলেও নিয়ন্ত্রণ রেখা (LOC) অতিক্রম করবে না দুই দেশের সেনারা।
কূটনৈতিক উত্তেজনা যখন চরমে, তখন পাকিস্তানে হামলার অলিখিত অনুমোদন দিচ্ছে ভারতের সব রাজনৈতিক দল।
ভারতের কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “আমরা জাতির স্বার্থে সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করব। প্রধানমন্ত্রী মোদির গৃহীত সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সবাইকে বার্তা দিতে চাই, জাতি হিসেবে আমরা ঐক্যবদ্ধ।”
পরস্পরের বিরুদ্ধে দুই দেশের অনমনীয় মনোভাবের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে। অতীতেও একাধিকবার যুদ্ধে জড়িয়েছে ভারত ও পাকিস্তান।
ইমরান