
ছবি: সংগৃহীত।
কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুক হামলায় হাতাহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারত ইতোমধ্যে পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা স্থগিত করেছে, সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে এবং একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে পাকিস্তান ভারতের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে, সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে, সিমলা চুক্তি বাতিল করেছে এবং ওয়াঘাহ সীমান্ত বন্ধ করেছে।
বিশেষ করে পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি বড় বিপদে পড়েছে। ভারতের বিমান সংস্থাগুলি বিকল্প রুটে বিমান চলাচলের জন্য অতিরিক্ত খরচ ও সময় বাড়ানোর মতো সমস্যা সম্মুখীন হতে পারে, যার কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো বিমান সংস্থাগুলি সতর্ক করেছে যে, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করার পর কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সময়সূচি পরিবর্তিত হতে পারে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের গন্তব্যগুলোর ফ্লাইটগুলোর জন্য বিকল্প দীর্ঘ পথ ব্যবহার করতে হবে। ফলে ভাড়া বৃদ্ধির সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে।
২০১৯ সালে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে প্রায় পাঁচ মাস পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকার পর, এই পদক্ষেপটি আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন এবং বিমান সংস্থাগুলোর জন্য যথেষ্ট বিপজ্জনক হতে পারে।
নুসরাত