
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি সিরিয়া সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান মার্লিন স্টুটজম্যান। তিনি জানিয়েছেন, সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সারা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী—তবে সেটি এক গুরুত্বপূর্ণ শর্তে।
জেরুজালেম পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টুটজম্যান বলেন, “প্রেসিডেন্ট সারা ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’ নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। তবে তিনি পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, এই আলোচনার জন্য প্রথম শর্ত হলো সিরিয়ার অখণ্ডতা বজায় রাখা। অর্থাৎ, দেশটির সব অঞ্চলকে সিরিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।”
তিনি আরও জানান, সারা চান একটি একক ও অখণ্ড সিরিয়া। তিনি উদ্বিগ্ন যে, রাজনৈতিক বা সামরিক চাপের মাধ্যমে দেশটি খণ্ডিত হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ইসরায়েলি দখলে থাকা গোলান উপত্যকা ও আশপাশের অঞ্চল নিয়ে রয়েছে সিরিয়ার জোর আপত্তি। প্রেসিডেন্ট সারা স্পষ্ট করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি সিরিয়ার ভূখণ্ডে আর কোনো বোমা হামলা চালায়, তবে কোনও আলোচনা সম্ভব হবে না।
উল্লেখযোগ্য যে, গত বছরের ডিসেম্বরে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটি ছিল প্রথমবারের মতো কোনো মার্কিন প্রতিনিধি দলের সিরিয়া সফর।
মার্লিন স্টুটজম্যান আরও দাবি করেন, “সিরিয়ার জনগণ চায় দেশটি আবার গর্বের জায়গায় ফিরে যাক। তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সম্মান করে। আমি দেখেছি, সিরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী।”
তবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও পরিষ্কার। কংগ্রেসম্যান বলেন, যদি সিরিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে এগোয়, তবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি ধর্মীয় স্বাধীনতা, নারীর অধিকার ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দিতে হবে সিরিয়াকে।
ফারুক