
ছবি: সংগৃহীত
ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ বন্দুকধারীদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬ জন নিরীহ মানুষ। ঘটনার পর গোটা অঞ্চলজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া এবং শুরু হয়েছে ধর্মীয় বিভেদের আগুন ছড়ানোর অপচেষ্টা। তবে এই অন্ধকারে এক উজ্জ্বল আলোর রেখা হয়ে উঠে এসেছেন কাশ্মীরের সাধারণ মুসলিম যুবকরা, যাদের মানবিক সাহস ও আত্মত্যাগ রীতিমতো মুগ্ধ করেছে সবাইকে।
এই নির্মম হামলার সময়ই আরেক মানবিক মুখ হয়ে উঠেছেন সাজ্জাদ আহমেদ বাট, পেশায় একজন শাল বিক্রেতা। ইন্ডিয়া টুডে ও ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাজ্জাদ বলেন, ‘আমার কাছে ধর্মের আগে মানবতা। যখন খবর পাই হামলা হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যাই।’
তিনি জানান, পহেলগাঁও পনি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ ওয়ান একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বার্তা দেন। সেই খবর পেয়েই বিকেল ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে যান সাজ্জাদ। তিনি বলেন, ‘আহত পর্যটকদের আমি পানি খাইয়ে দিই, যারা হাঁটতে পারছিল না তাদের কাঁধে তুলে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসি।’
সাজ্জাদ বলেন, "পর্যটকদের কাঁদতে দেখে আমার নিজের চোখও ভিজে গিয়েছিল। তারা আমাদের জীবনের অংশ। তারা না এলে আমাদের ব্যবসা চলে না, জীবন চলে না। এরা আমাদের অতিথি, আমরা এদের রক্ষা করব—এটাই তো আমাদের দায়িত্ব।"
ফারুক