
রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছতে ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটশকো। শুক্রবার বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, সম্ভাব্য একটা পরিস্থিতি হচ্ছে কিছু ভূখণ্ডের দখল ছেড়ে দেওয়া। এটা মোটেও ন্যায্য নয়। তবে ক্ষণস্থায়ী শান্তির জন্য হলেও এটা একটা সমাধান হতে পারে। শান্তির জন্য প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হয়তো বেদনাদায়ক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। খবর আরটির।
তবে ইউক্রেনের মানুষ কোনোভাবেই রুশ দখলদারিত্ব মেনে নেবে না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বিবিসির সঙ্গে যখন তিনি এই কথা বলছেন, তার কয়েক ঘণ্টা আগে কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় রাজধানীতে দীর্ঘদিন পরে এত ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ক্রেমলিন। হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত এবং ৮০ জন আহত হয়েছেন। ২০২২ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ইউক্রেনে পূর্ণ সামরিক অভিযান শুরু করেন। বর্তমানে রাশিয়ার দখলে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রয়েছে। ওই সাক্ষাৎকারে ক্লিচকো বলেন, রাজধানীর নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার কাঁধে। ইউক্রেনের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদের মধ্যে এখন কিয়েভের মেয়রও সেই তালিকায় নাম লেখালেন, যারা শান্তির জন্য ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার বিকল্পকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। এদিকে চলতি সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, শান্তি আলোচনা ক্ষতিগ্রস্ত করছেন জেলেনস্কি। কারণ তিনি ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছেন না। ইউক্রেন ও এর ইউরোপীয় মিত্ররা ইদানীং রাশিয়ার প্রতি ট্রাম্পের নমনীয় অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের আশঙ্কা, ট্রাম্প-পুতিনের সম্পর্কোন্নয়ন হলে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার খায়েশই পূর্ণ হবে। এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার বড় ধরনের হামলায় খুশি নন বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভøাদিমির পুতিনের এই হামলা বন্ধ করা উচিত বলে উল্লেখ করলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে কি না তা তিনি বলেননি। বুধবার রাতভর কিয়েভে রাশিয়ার হামলার খবর পাওয়া গেছে। এসব হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে। গত জুলাইয়ের পর এটাই কিয়েভে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা বলে দাবি করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে উভয় পক্ষের ওপর অনেক চাপ দিচ্ছেন। গত বছর প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, বিজয়ী হলে দ্রুতই তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে সক্ষম হবেন।
প্যানেল