
ছবি: সংগৃহীত
ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক, লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য আজ ২৫শে এপ্রিল শুক্রবার একটি ফেসবুক পোস্টে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম আলোচিত ইস্যু—প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভবিষ্যৎ ও বিজেপির ৭৫ বছর বয়সে অবসর নীতির প্রেক্ষাপট—তুলে ধরেছেন।
ডা. ভট্টাচার্য লিখেছেন, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বিজেপিতে একটি অনানুষ্ঠানিক নীতি চালু হয়, যেখানে ৭৫ বছর বয়স পার করলেই নেতাদের সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ‘উৎসাহ’ দেওয়া হয়। সেই নীতির আওতায় এল. কে. আদবানি, মুরলি মনোহর যোশী ও যশবন্ত সিনহার মতো বর্ষীয়ান নেতাদের পরামর্শদাতা পরিষদ ‘মার্গদর্শক মণ্ডলী’-তে স্থান দেওয়া হয়, কার্যত যা ছিল অবসরের সমতুল্য।
কিন্তু এই বয়সসীমার নীতি নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সমালোচকদের মতে, যদি এই নীতি আদবানি বা যোশীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, তবে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে ৭৫ বছরে পা রাখতে যাওয়া নরেন্দ্র মোদির ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
জল্পনা আরও তীব্র হয় যখন শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) নেতা সঞ্জয় রাউত দাবি করেন, মোদি সম্প্রতি নাগপুরে আরএসএস-এর সদর দপ্তরে গিয়ে জানিয়েছেন যে তিনি আগামী সেপ্টেম্বরে অবসরে যাবেন। যদিও এই দাবি বিজেপি ও আরএসএস উভয়ই কঠোরভাবে অস্বীকার করেছে।
ডা. ভট্টাচার্য তার বিশ্লেষণে উল্লেখ করেন, এই পরিস্থিতিতে মোদির অপরিহার্যতা প্রমাণ করা বিজেপি ও আরএসএস-এর জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্প্রতিক দুঃখজনক ঘটনার পর তার নেতৃত্ব আরও অপরিহার্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁর মতে, কাশ্মীরের এই নিরাপত্তা সংকটের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বড় বেনেফিশিয়ারি নরেন্দ্র মোদিই।
এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দলের একাংশ মোদিকে অবসরের দিক থেকে দূরে রাখতে চাইছে, কারণ এখনো তার জনপ্রিয়তা ও কৌশলগত দখল বিজেপির জন্য অমূল্য সম্পদ।
আবীর